সাদুল্যাপুর প্রেসক্লাব সভাপতি প্রভাষক মাহমুদুল হক মিলনের সভাপতিত্বে ৩ ঘন্টা ব্যাপী এই আলোচনায় অংশ নেন উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি মোজাহারুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক রুহুল আলম, বিএনপির সাধারন সম্পাদক এ্যাডভোকেট আবদুস ছালাম, যুবলীগের সভাপতি শাহ ফজলুল হক রানা, সাধারণ সম্পাদক সাজেদুল ইসলাম ¯ স্বাধীন, যুবদল সভাপতি আবদুল হামিদ সরকার, সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম রাজু, ছাত্রলীগ সভাপতি মোনতাজের রহমান চঞ্চল, ছাত্রদল আহবায়ক রেজওয়ান হোসেন সুজন, যুগ্ন আহবায়ক মাসুদ আকন্দ। এসময় আওয়ামীলীগ ও বিএনপির অঙ্গসংগঠন গুলোর আরো একাধিক নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন। প্রেসক্লাবের উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে সহযোগিতা করে বক্তব্য রাখেন সাদুল্যাপুর বণিক সমিতির সভাপতি শফিউল স্বপন, ব্যবসায়ী সামসুজোহা প্রামাণিক রাঙ্গা ও বনগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ফজলুল কাইয়ুম হুদা। এর আগে গত ১৩ ডিসেম্বর উপজেলার জামালপুর বাজারে জামাত-শিবিরের হামলায় গুরুতর আহত হয় উপজেলা আওয়ামীলীগ সাধারণ সম্পাদক শাহারিয়া খান বিপ্লব। তিনি বর্তমানে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এই হামলার পর সাদুল্যাপুর শহরে বিএনপি নেতা ডাঃ মইনুল হাসান সাদিকের বাসভবনে অগ্নিসংযোগ, যুবদল সভাপতির মটর সাইকেলে আগুন ও দুটি ব্যবসা প্রতিষ্টানে হামলার ঘটনা ঘটেছে। এর প্রেক্ষিতে প্রেসক্লাবের উদ্যোগে স্থানীয় আওয়ামীলীগ ও বিএনপিকে একটেবিলে বসানোর এই আয়োজন করা হয়। উপজেলা বিএনপির সাধারন সম্পাদক এ্যাডভোকেট আবদুস ছালাম বলেন এখানে আওয়ামীলীগ ও বিএনপির মাঝে অতীতের কোন দ্বন্দ নেই। এরপরও আমরা প্রেসক্লাবে বসে এলাকায় আইনশৃক্সখলা পরিস্থিতি ভালো রাখতে শান্তিপূর্ণ পরিবেশে দলীয় কর্মসূচী পালনের কথা জানিয়েছি। উপজেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি মোজাহারুল ইসলাম বলেন আমি বিএনপির মিছিল দেখলে মটর সাইকেল থামিয়ে তাদের সম্মান দেখাই। সেজন্য বিএনপির বন্ধুদের জানিয়েছি আপনারা জামাত-শিবিরকে সঙ্গে নিয়ে কোন দলীয় কর্মসূচী পালন করবেন না। তাতে সবার মাঝে রাজনৈতি সহাবস্থান বজায় থাকবে।
বণিক সমিতির সভাপতি শফিউল স্বপন বলেন রাজনৈতিক দল সৃষ্টির পর থেকে সাদুল্যাপুরে আওয়ামীলীগ-বিএনপির দ্বন্দ হয়নি এবং ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলার ঘটনা ঘটেনি। তাই আগামীতেও যাতে কোন দ্বন্দ না হয় সেজন্যই দু’দলকে একত্রে বসানো হয়েছে।
এলাকায় শান্তিপূর্ণ পরিবেশ ধরে রাখতে প্রেসক্লাবের এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন সাদুল্যাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দ ফরহাদ হোসেন, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান আকতার বানু লাকি, থানার অফিসার ইনচার্জ জিয়া লতিফুল ইসলামসহ স্থানীয় বিভিন্ন স্তরের সুধিজন।