জানা গেছে, ওই গ্রামের মাদকাসক্ত বখাটে নয়ন বালা রবিবার সকালে ধারালো ছুড়ি দিয়ে স্থানীয় প্রাইমারী স্কুলের ৪র্থশ্রেণীর ছাত্রী তানিয়া আক্তারকে (৯) জবাই করে হত্যা করে। এরপর তানিয়ার বোন হাসি বেগম, ভাগ্নে মারিয়া, মাদ্রাসা ছাত্র মনির সরদার ও ঘাতকের ভাগ্নি অনন্যাকে এলোপাথারি কুপিয়ে গুর“তর জখম করে। নিহত তানিয়া ওই গ্রামের আলমগীর হোসেন সরদারের কন্যা। গুর“তর আহত চারজনকেই স্থানীয়রা উদ্ধার করে প্রথমে গৌরনদী হাসাতালে ভর্তি করে। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে তাদের বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। লোমহর্ষক এঘটনার পর উত্তেজিত গ্রামবাসী ঘাতক নয়ন বালা, তার বাবা অমল বালা ও কাকী র“নু বালাকে আটক করে গণধোলাই দিয়ে পুলিশের কাছে সোপর্দ করেন। এনিয়ে এলাকায় চরম উত্তেজনা সৃষ্টি হলে ওই এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়ন করা হয়।
গৌরনদী থানার ওসি (তদন্ত) মো. নাজমুল হোসেন জানান, ওই গ্রামের অমল বালার পুত্র ও সরকারী গৌরনদী কলেজের দ্বাদশ শ্রেণীর ছাত্র নয়ন বালা মাদকাসক্ত হয়ে বাড়ি ফিরে প্রায়ই তার বাবা-মাকে মারধরসহ ঘরের আসবাবপত্র ভাংচুর করত। রোববার সকালেও সে অতিরিক্ত মাদক সেবন করে বর্বরোচিত এ হত্যাকান্ড ঘটিয়েছে। এঘটনায় নিহতের পিতা বাদী হয়ে থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। নিহত তানিয়ার লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। ঘাতক নয়নকে পুলিশ পাহারায় গৌরনদী হাসাপাতালে ভর্তি করা হয়েছে বলে পুলিশসূত্রে জানা গেছে।
দূর্ঘটনার খবর শুনে ওইদিন বিকেলে স্থানীয় সংসদ সদস্য এ্যাড. তালুকদার মো. ইউনুস, জেলা প্রশাসক মো. শহীদুল আলম, পুলিশ সুপার একেএম এহসান উল্লাহ, সহকারী পুলিশ সুপার অশোক কুমার নন্দী, র্যাব-৮ এর কোম্পানী অধিনায়ক ক্যাপ্টেন বাশার, গৌরনদী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মাসুদ হাসান পাটোয়ারী ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।