বাংলাদেশ থেকে আবার কর্মী নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ ইরাক

irak   1111111অনলাইন ডেস্ক, জি নিউজঃ- বাংলাদেশ থেকে আবার আনুষ্ঠানিকভাবে কর্মী নেওয়ার  সিদ্ধান্ত নিয়েছে যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ ইরাক tগতশনিবার দুই দেশের মধ্যে এ-সংক্রান্ত সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছেইরাকের শ্রমমন্ত্রী নাসের আল রুবাইয়েত এবং বাংলাদেশের প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থানমন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেন নিজ নিজ দেশের পক্ষে চুক্তিতে সই করেনতবে কোন খাতে কত কর্মী যাবেন, কিংবা কতজন কর্মী যাবেন, সেসব বিষয়ে এখনো কিছু চূড়ান্ত হয়নি প্রবাসীকল্যাণ ভবনে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর শেষে যৌথ এক সংবাদ সম্মেলনে প্রবাসী কল্যাণমন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, ইরাক সরকার বাংলাদেশ থেকে প্রায় ৩০ হাজার দক্ষ শ্রমিক নিতে চায়খুব কম খরচে বাংলাদেশি কর্মীরা ইরাকে যাওয়ার এই সুযোগ পাবেন একসময় বাংলাদেশের অন্যতম শ্রমবাজার ছিল ইরাককিন্তু ১৯৯১ সালের উপসাগরীয় যুদ্ধের পর কর্মী পাঠানো বন্ধ হয়ে যায়২০০৩ সালে ইরাকযুদ্ধের সাত বছর পর ২০১০ সালের জানুয়ারিতে ফের আনুষ্ঠানিকভাবে ইরাকে বাংলাদেশের দূতাবাস চালু হয়চলতি বছরের জানুয়ারিতে দূতাবাসের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্সের দায়িত্ব পান জিয়াদুর রহমানগতকাল শুক্রবার তিনি ইরাকের নয় সদস্যের একটি প্রতিনিধিদলকে বাংলাদেশে নিয়ে আসেনএর আগে বাংলাদেশের প্রবাসীমন্ত্রীও ইরাক সফর করেছেন মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, আগামী ৮ সেপ্টেম্বর ইরাকের আরেকটি প্রতিনিধিদল বাংলাদেশে আসবেতাঁরা জনশক্তি, কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর ডাটাবেইজ, মিরপুর ও কোরিয়ান সেন্টারে কর্মী প্রশিক্ষণসহ অন্যান্য কার্যক্রম দেখবেন প্রবাসীকল্যাণমন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ বলেন, বিভিন্ন বিষয় দেখার পর প্রথম ধাপে এক হাজার কর্মী নেবে ইরাক ইরাকের মন্ত্রী নাসের আল রুবাইয়েত বলেন, এ সমঝোতার মাধ্যমে দুই বন্ধু দেশের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক ও অর্থনৈতিক উন্নয়ন জোরদার হবেতিনি বলেন, সরকারি-বেসরকারি দুই পর্যায়েই বাংলাদেশ থেকে তাঁরা জনশক্তি নিতে চান সংবাদ সম্মেলনে প্রবাসী কল্যাণ সচিব জাফর আহমেদ খান এবং ইরাকে নিযুক্ত বাংলাদেশের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স জিয়াদুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।  পরে জানতে চাইলে জিয়াদুর রহমান জানান ‘১৯৯১ সালে উপসাগরীয় যুদ্ধের পর ইরাকের শ্রমবাজার বন্ধ হয়ে গিয়েছিলদীর্ঘ ২২ বছর পর বাংলাদেশ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে কর্মী নেওয়ার জন্য সমঝোতা স্বাক্ষর করল ইরাকআমরা মনে করি এর মধ্যে দিয়ে শ্রমবাজারের নতুন একটি অধ্যায় শুরু হলোআমরা আশা করছি যুদ্ধবিধ্বস্ত ইরাকে বাংলাদেশ থেকে অনেক কর্মী যেতে পারবে। তাঃ- ৩১আগস্ট ২০১৩

 

Exit mobile version