তামজিদ লষ্কর, ঢাকা ঃ শুরুতেই নানা বিতর্কের জন্মের মাধ্যমে ব্যপক আলোচনায় উঠে আসা বাংলাদেশ ন্যাশনালিষ্ট ফ্রন্ট-বিএনএফ এ ঘটছে বহিষ্কার ও পদত্যাগের নানা পরিসংখ্যান। দলের আলোচিত আহবায়ক সাবেক মন্ত্রী ব্যারিষ্টার নাজমুল হুদা বিএনএফ এ যোগদানের ৬ মাসের মাথায় বহিষ্কার হন। তিনি ২০১২ সনের আগষ্ট মাসে বিএনএফ এ যোগদান করেন এবং ২০১৩ সনের এপ্রিলে দলের চীফ কো-অর্ডিনেটর ও মুখপাত্র আবুল কালাম আজাদ র্কতৃক বহিষ্কৃত হন। নানা সমীকরণের মধ্য দিয়ে বিএনএফ গত ১৮ নভেম্বর নিবন্ধন পায়। নিবন্ধন প্রাপ্তির মাত্র ৫ দিনের মাথায় ২৩ নভেম্বর দলের আনুষ্ঠানিক যাত্রার ঢাকা রির্পোর্টাস ইউনিটিতে অনুষ্ঠিত প্রথম সংবাদ সম্মেলনে দলীয় শৃংখলা ভঙ্গের কারণে বহিষ্কার হন দলের প্রবীণ রাজনীতিবিদ ততকালীন সাবেক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এবং বিএনএফ যুগ্ম আহবায়ক মোয়াজ্জেম হোসেন খান মজলিশ।
এবারে ঘটেছে নতুন ব্যত্যয়। এবার বহিষ্কার নয় দল থেকে পদত্যাগ করলেন বিএনএফ’র কেন্দ্রিয় আহবায়ক কমিটির সদস্য ও কুষ্টিয়া জেলা আহবায়ক আবদুল্লাহ জিয়া। বিএনএফ এর প্রথম ব্যক্তি উদ্দ্যেগে ও ব্যক্তিগত অর্থ খরচের মাধ্যমে কুষ্টিয়া-৩ আসনের সংসদ সদস্য প্রার্থী হিসেবে জনগণের সর্মথন চাওয়া বিষয়ক পোষ্টার-ফেষ্টুন দিয়ে রাজধানী ঢাকা ও কুষ্টিয়া জেলায় ব্যপক প্রচার ও প্রচারণার মাধ্যমে নিজেকে বিএনএফ এর একজন বিশ্বস্থ ও দলীয় আস্থাভাজন নেতা হওয়া সত্তে¡ও তিনি এ পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নেন। তিনি বিএনএফ এর ফেসবুকের পেইজ এর এডমিন এক্টিভেটর ছিলেন। বিএনএফ চীফ আবুল কালাম আজাদের নির্দেশক্রমে তিনি এ পেইজটি ডিলিট করে দিয়েছেন।
তিনি ন্যাশনাল লেবার পার্টি-এনএলপি’র প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ছিলেন। রাজনীতির নতুন ট্রাম্পকার্ডে নিজ ও নিজের দলের নেতাকর্মীদের নাম লেখাতে তিনি গত ১৮ মে ২০১৩ তারিখ তার দলীয় নেতাকর্মীসহ আনুষ্ঠানিকভাবে নিবন্ধনের জন্য প্রকৃয়াধীন বিএনএফ এ যোগদান করেন। নিজ দল ত্যাগ করে বিএনএফ এ যোগদানের সময় তাকে কেন্দ্রীয় কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান ও এনএলপি’র মহাসচিব সাজিদুর রহমান চৌধুরীকে যুগ্ম মহাসচিব পদ দেবার কথা থাকলেও র্দীঘ ৬ মাসের বিএনএফ জীবনে কোন পদ-পদবী না পাওয়াই এ পদত্যাগের কারণ বলে জানা যায়। বিএনএফ এর বহিষ্কার সংস্কৃতি ভাঙতে তার এ পদত্যাগ কিনা বিষয়টি জানতে চাইলে তিনি এ বিষয়ে অজানা আশংকার কারণে মুখ খুলতে রাজী হন নি।