প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বিএনপি নেত্রী খালেদা আমাকে দেখতে চান না। এজন্য ২১ অগাস্ট ২০০৪ সালের গ্রেনেড হামলা করে আমাকে হত্যার ষড়যন্ত্র করেছিল তার এক কেবিনেটের মন্ত্রী এবং তার ছেলেকে দিয়ে । যুদ্ধাপরাধের চলমান বিচারের প্রসঙ্গ ধরে তিনি বলেন, “যুদ্ধাপরাধীদের রক্ষায় উনি (খালেদা জিয়া) মানুষ পুড়িয়ে মারছেন। তিনি পরাজিত শক্তির পক্ষে। আমরা যুদ্ধাপরাধীদের বিচার সম্পন্ন করে জাতিকে কলঙ্কমুক্ত করতে পারব, সে বিশ্বাস আমার আছে। আওয়ামী লীগ সভানেত্রী বলেন, একাত্তরে গণহত্যাকারীদের বিচারের বিপক্ষে সব সময় সক্রিয় ছিল বিএনপি। গত ২১ অগাস্ট ২০০৪ সালের বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে জনসভায় গ্রেনেড হামলা চালিয়ে শেখ হাসিনাকে হত্যার চেষ্টা হয়েছিল। ওই মামলায় বিরোধীদলীয় নেতার বড় ছেলে তারেক রহমান এবং লুৎফুজ্জামান বাবরসহ কয়েকজন মন্ত্রী আসামি। বিএনপির দাবি, রাজনৈতিক উদ্দেশ্য থেকে ওই মামলায় খালেদা জিয়ার সন্তানকে আসামি করা হয়েছে। বিএনপি চেয়ারপারসনের সমলোচনা করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, করেন। উনার স্কুল সার্টিফিকেটে জন্মদিন ৫ সেপ্টেম্বর। অতচ উনি ১৫ অগাস্ট ভুয়া জন্মদিন পালন করেন। জিয়াউর রহমান রাষ্ট্রপতি হওয়ার পর তার পাসপোর্টে এক তারিখ, আর প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর জীবনবৃত্তান্ততে আরেক তারিখ।১৫ অগাস্ট বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের দিন খালেদা জিয়ার জন্মদিন উদযাপনের সমালোচনা করে, ১৯৯৩ সাল থেকে তিনি এই জন্মদিন পালন করেন। আমরা যেদিন শোকে কাতর থাকি, সেদিন তিনি উৎসব করেন, এদিকে নির্বাচনকে সামনে রেখে জনগণ ও ভোটারদের কাছে গিয়ে সরকারের উন্নয়নচিত্র তুলে ধরার পরামর্শ দেন এ ছাড়া বিগত ২০০১ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত বিএনপি-জামায়াতের দুঃশাসন, লুটপাট, জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাসের কথা জনগণের সামনে তুলে ধরুন। তাদের সেসব ঘটনা স্মরণ করিয়ে দিন। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসলে দেশের উন্নয়ন হয়। আর বিএনপি আসলে দেশে লুটপাটের রাজত্ব চলে। তৃণমূল নেতাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে জাতীয় নির্বাচনের দলের প্রার্থী বাছাইয়ে তৃণমূল আওয়ামী লীগের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন। এতে রাজশাহী জেলা ও মহানগর, শরীয়তপুর, নেত্রকোনা, নাটোর, নরসিংদী, সাতক্ষীরা, ঝিনাইদহ জেলা ও জেলাধীন থানা, উপজেলা, প্রথম শ্রেণীর পৌর আওয়ামী লীগ নেতারা অংশ নেন।