বিএসএফ সদস্যকে নির্দোষ ঘোষণা, রায় প্রত্যাখ্যান পরিবারের
জি-নিউজ
অনলাইন ডেস্ক, জি নিউজঃ-কুড়িগ্রাম সীমান্তে বাংলাদেশি কিশোরী ফেলানী খাতুন হত্যা মামলায় অভিযুক্ত বিএসএফের হাবিলদার অমিয় ঘোষ ‘নির্দোষ’ বলে রায় দিয়েছে বাহিনীর বিশেষ আদালত।৬ সেপ্টেম্বর বহুল আলোচিত কিশোরী ফেলানী হত্যা মামলার আসামি ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সদস্য অমিয় ঘোষকে বেকসুর খালাস দিয়েছে দেশটির একটি আদালত।গত শুক্রবার ভারতের কুচবিহার ১৮১ বিএসএফ সদর দপ্তরে জেনারেল সিকিউরিটি ফোর্সেস কোর্ট এ রায় দেয়।দীর্ঘ আড়াই বছর পর গত ১৩ আগস্ট ফেলানী হত্যাকাণ্ডের এ বিচার শুরু হয়।বিএসএফর গুলিতে বাংলাদেশি কিশোরীর দেহ কাঁটা তারের বেড়ায় দীর্ঘ ৪ ঘণ্টা ঝুলে থাকার ছবি ভারত-বাংলাদেশসহ গোটা বিশ্বের গণমাধ্যমে প্রকাশিত হলে ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়ে ভারত সরকার।ভারত-বাংলাদেশের গণমাধ্যম ও মানবাধিকার সংস্থাগুলোর দাবির মুখে অবশেষে গত ১৩ আগস্ট ফেলানী হত্যার বিচারকাজ শুরু করে ভারত।গত ২০১১ সালের ৭ জানুয়ারি বাংলাদেশি কিশোরী ফেলানী ভারত থেকে বাংলাদেশে আসার পথে কুড়িগ্রামের অনন্তপুর সীমান্ত বিএসএফের গুলিতে নিহত হন। দালালের মাধ্যমে মই বেয়ে পিতার সঙ্গে কাঁটাতারের বেড়ার ওপরে ওঠেন ফেলানী। এ সময় বিএসএফ এর ১৮১ ব্যাটালিয়নের চৌধুরীহাট ক্যাম্পের টহলরত সদস্যদের গুলিতে নির্মম ভাবে প্রাণ হারান ফেলানী।ফেলানীর পিতা বেঁচে গেলেও গুলিবিদ্ধ ফেলানীর লাশ ঝুলে থাকে কাঁটাতারের বেড়ায়।এ ছবি বাংলাদেশ-ভারতসহ আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে প্রকাশিত হলে সমালোচনার ঝড় ওঠে সারা বিশ্বে। ঘটনার একদিন পর দু’দেশের সীমান্তরক্ষীর পতাকা বৈঠকের পর লাশ ফেরত দেয় বিএসএফ।ওই দিনই বিএসএফ সদস্য শ্রী অমিয় ঘোষকে প্রধান অভিযুক্ত করে ভারতের কুচবিহার জেলার দিনহাটা পুলিশ স্টেশনে একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়।চলতি বছরের মার্চে দিল্লীতে অনুষ্ঠিত বিজিবি-বিএসএফ এর বৈঠকে ভারত সরকার বিচারের আশ্বাস দেয়।তাঃ-০৬-০৯-২০১৩