অনলাইন ডেস্ক:- সাবধান না হলে বিকিনি পরা সুন্দরী মেয়েদের বিপদ হতেই পারে – এমন ইঙ্গিত করে থাইল্যান্ডের সামরিক শাসক চাপের মুখে পড়েছেন৷ তারপর অবশ্য তিনি দুঃখ প্রকাশ করেছেন৷ থাইল্যান্ডের পরিস্থিতি পর্যটন শিল্পের জন্য সমস্যা হয়ে দাঁড়াচ্ছে৷গোটা বিশ্ব থেকে অসংখ্য পর্যটক আসেন থাইল্যান্ডে৷ মনোরম সমুদ্র সৈকত থেকে শুরু করেপ্রাচীন ঐতিহ্যের নিদর্শন – আকর্ষণের অভাব নেই৷ তবে সবচেয়ে বেশি টানে সমুদ্রের তীরে বলাকাভূমি৷
ফুকেট সহ অনেক শহরে যাবার বিমানের টিকিটও বেশ সস্তায় পাওয়া যায়৷ মোটকথা পর্যটনের অবকাঠামোও যথেষ্ট উন্নত৷ ফলে দেশের অর্থনীতি পর্যটন শিল্পের উপর অনেকটাই নির্ভর করে রয়েছে৷ পর্যটকদের আচরণ সম্পর্কে সেই দেশের সামরিক শাসক তথা প্রধানমন্ত্রীর কুরুচিকর মন্তব্য তাই সবার নজর কেড়েছে৷
কয়েক দিন আগেই দেশের দক্ষিণে একটি দ্বীপের পর্যটন কেন্দ্রে এক তরুণ ব্রিটিশ দম্পতির ক্ষতবিক্ষত লাশ পাওয়া গেছে৷ ঘটনার তদন্ত চলছে৷ তার আগেই থাইল্যান্ডের সামরিক শাসক এক বেফাঁস মন্তব্য করে বিপদে পড়েছেন৷ ঘটনাটির কথা শুনে প্রায়ুত চান ওচা বলেছিলেন, ‘‘ওরা ভাবে আমাদের দেশটা সুন্দর ও নিরাপদ৷ তাই তারা যা খুশি তাই করতে পারে৷ বিকিনি পরে সব জায়গায় যেতে পারে৷ কিন্তু বিকিনি পরে কি তারা নিরাপদ থাকতে পারে, যদি না তারা সুন্দর না হয়বলাই বাহুল্য, এমন মন্তব্যের জের ধরে প্রবল বিতর্ক ও নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া শোনা যাচ্ছে৷ চাপের মুখে পড়ে তিনিও এমন মন্তব্যের জন্য দুঃখ প্রকাশ করেছেন৷ বলেছেন,
কারও মনে আঘাত দেবার ইচ্ছা তাঁর ছিল না৷ অবমাননা বা সমালোচনাও করতে চান নি তিনি৷ তিনি শুধু সবাইকে সতর্ক করে দিতে চেয়েছিলেন৷ বলতে চেয়েছিলেন, যে কোনো দেশের মতোথাইল্যান্ডেও কিছু খারাপ লোকও রয়েছে৷ মাসের পর মাস ধরে রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে থাইল্যান্ডে পর্যটকদের সংখ্যা এমনিতেই কিছুটা কমে গেছে৷ বিচ্ছিন্ন ঘটনা হলেও ব্রিটিশ দম্পতির অস্বাভাবিক মৃত্যুর ফলে পর্যটকদের নিরাপত্তা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে৷ এই ঘটনার তদন্তের ক্ষেত্রেও গাফিলতির অভিযোগ উঠছে৷খবর:ডিডাব্লিউ, তার উপর সরকার-প্রধানের এমন বেফাঁস মন্তব্য বিদেশি পর্যটকদের কাছে ভুল বার্তা পাঠাবে বলে মনে করছেন অনেকে৷ আসন্ন পর্যটক মরসুমেই তা টের পাওয়া যেতে পারে৷