স্পোর্টস ডেস্কঃ- রাজিল বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে ফ্রান্সকে ১-০ গোলে হারিয়ে সেমিফাইনালের টিকিট নিশ্চিত করেছে জার্মানি।আগামী ৮ জুলাই ব্রাজিল অথবা কলম্বিয়ার মুখোমুখি হবে তারা।শুক্রবার রিওডি জেনেরিওর মারাকানা স্টেডিয়ামে নামে সাবেক দুই বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ফ্রান্স ও জার্মানি। খেলার ৪ মিনিটেই আক্রমণে যায় জার্মানি। তবে ফরাসি ডিফেন্সের মুখে তা প্রতিহত হয়। ৮ মিনিটের মাথায় পাল্টা আক্রমণে যাওয়া বেনজেমার শট লক্ষ্যভ্রষ্ট হলে এগিয়ে যাওয়া থেকে বঞ্চিত হয় ফ্রান্স।১১ মিনিটের মাথায় ভ্যালবুয়েনার বানিয়ে দেয়া বল জার্মান জালে জড়াতে ফের ব্যর্থ হয় ফরাসিরা। ম্যাচের ১২ মিনিটে টনি ক্রসের ফ্রি কিক দুর্দান্ত হেডের মাধ্যমে গোলে পরিণত করে দলকে জয়ের পথে এগিয়ে দেন ম্যাট হামেলস। প্রথম আধঘণ্টা চাপে থাকলেও ৩২ মিনিট থেকে পাল্টা আক্রমণে দেখা যায় ফরাসিদের। ৩৫ মিনিটে গ্রিজম্যানের বানিয়ে দেয়া বল ভ্যালবুয়েনা গোলবারে মারলেও জার্মান গোলরক্ষক ন্যুয়ের দৃঢ়তার সঙ্গে তা ফিরিয়ে দেন। সামনে থাকা বেনজেমাও তা গোলে রুপান্তরে ব্যর্থ হন। ফলে প্রথমার্ধে সমতায় ফিরতে পারেনি ফরাসিরা।দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকেই জার্মানির রক্ষণভাগের ওপর মারাত্মক চাপ তৈরি করে ফ্রান্স। কিন্তু জার্মানির জমাট রক্ষণ ভাঙা সম্ভব হয়নি। ম্যাচের ৫৪ মিনিটে গ্রিজম্যানকে ফাউল করলে ম্যাচের প্রথম হলুদকার্ড হজম করেন সামি খিদিরা। ৬২ মিনিটে ফের আক্রমণে আসা ফ্রান্সের ভেরানের হেড জার্মান গোলরক্ষক ন্যুয়ের তালুবন্দি করলে এ যাত্রায় বেঁচে যায় জার্মানরা। ৬৯ মিনিটে ক্লোসাকে উঠিয়ে নামানো হয় শুরেলকে। ৮০ মিনিটে ম্যাচের দ্বিতীয় হলুদ কার্ড হজম করেন শোয়েন্সটেইগার।খেলা শেষ হওয়ার কয়েক সেকেন্ড আগে দারুণ একটি চেষ্টা করেছিলেন বেনজেমা। বাঁদিক থেকে তার বাঁ পায়ের শট ডানহাতে ঠেকিয়ে ফ্রান্সের বিদায় নিশ্চিত করেন গোলরক্ষক মানুয়েল নয়ার।এ জয়ের ফলে প্রথম কোনো দল হিসেবে নিজেদের গড়া ২০১০ সালের আসরে টানা হ্যাটট্রিক সেমিফাইনাল খেলার রেকর্ড ভাঙল ইউরোপীয় জায়ান্টরা।২০০২ সালের কোরিয়া-জাপান বিশ্বকাপে সেমিফাইনাল উতরানো জার্মানি ফাইনালে ব্রাজিলের কাছে ২-০ গোলে পরাস্ত হয়। এরপর ২০০৬ সালে নিজেদের মাটিতে বিশ্বকাপেও সেমিফাইনাল খেলে জার্মানরা।খবর-রেডিও তেহরান,ওই বার ইতালির কাছে ২-০ গোলে হেরেছিল দলটি। আর ২০১০ সালের দক্ষিণ আফ্রিকা বিশ্বকাপে স্পেনের কাছে ১-০ গোলে হেরে বিদায় নিতে হয়েছিল জার্মানিকে।