জি নিউজ বিডি ডট নেট ঃ- রাজধানীর টঙ্গীর তুরাগ নদীর তীরে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম এ গণজমায়ে শুরু হওয়া বিশ্ব ইজতেমার প্রথম দিনে শুক্রবার জুমার নামাজ আদায় করেছেন লাখো মুসল্লি। অধিক সওয়াবের আশায় বৃহৎ এ জামাতে অংশ নিতে নির্ধারিত মুসল্লি ছাড়াও রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে সকাল থেকেই সমবেত হতে থাকেন ধর্মপ্রাণ মানুষ। দুপুর ১টায় আজান হলেও বেলা ১২টার আগেই বিশাল ময়দান ও আশপাশের এলাকা ছাড়িয়ে মুসল্লির ঢল নামে পূর্বপাশের মহাসড়কে। আজানের পর ওই সড়কে প্রায় এক ঘণ্টা যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। প্রচ- যানজট আর যানবাহন সঙ্কটসহ নানা দুর্ভোগ উপেক্ষা করে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে হাজার হাজার মুসল্লি হেঁটে কিংবা বিকল্প বাহনে উপস্থিত হন ইজতেমাস্থলে। জুমার নামাজের ইমামতি করেন রাজধানীর কাকরাইল মসজিদের খতিব মাওলানা যুবায়ের। মাইকে তার কণ্ঠধ্বনি যতদূর শোনা গেছে ততদূর পর্যন্ত যে যেখানে পেরেছেন নামাজে দাঁড়িয়ে গেছেন। অনেকে আবার আশপাশের বিল্ডিংয়ের ছাদেই জুমার নামাজ আদায় করেন। গতকাল শুক্রবার ফজরের নামাজের পর আম বয়ানের মধ্য দিয়ে শুরু হয় ৪৯তম বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্বের আনুষ্ঠানিকতা। সূত্র জানায়, ইজতেমার শুরুতে ঈমান, আমল ও আখলাকের ওপর বয়ান করেন পাকিস্তানের মাওলানা আবদুল ওহাব। পর্যায়ক্রমে বয়ান করেন ভারতের মাওলানা মোঃ ইসমাইল হোসেন ও মাওলানা সাদ।এছাড়া বিশ্ব ইজতেমায় শুক্রবার জুমার নামাজ আদায় করেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আকম মোজাম্মেল হক, গাজীপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র অধ্যাপক এমএ মান্নানসহ বেশ কয়েকজন সরকারি প্রতিনিধি।এদিকে ইজতেমায় মুসল্লিদের নিরাপত্তার জন্য মাঠ ও আশপাশের এলাকায় কড়া নিরাপত্তা বেষ্টনী গড়ে তোলা হয়েছে। মোতায়েন রয়েছে বিপুল সংখ্যক র্যাব ও পুলিশ। গাজীপুর জেলা পুলিশ সুপার আবদুল বাতেন জানান, ইজতেমার নিরাপত্তার জন্য নিয়োজিত থাকছে ২০ হাজারের বেশি র্যাব, পুলিশ, আনসার ও সাদা পোশাকধারী আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য। অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে মাঠজুড়ে স্থাপন করা হয়েছে ৬০টি সিসি ক্যামেরা। রয়েছে র্যাবের ১৪টি পর্যবেক্ষণ টাওয়ার। চলছে হেলিকপ্টার টহল। এছাড়া গাজীপুর জেলা প্রশাসন, সিটি করপোরেশন, পুলিশ ও র্যাবের জন্য পৃথক কন্ট্রোলরুম স্থাপন করা হয়েছে। প্রশাসনিক নিরাপত্তার পাশাপাশি ইজতেমা আয়োজকদের উদ্যোগে বহু স্বেচ্ছাসেবী মুসল্লিকে দায়িত্ব পালন করতে দেখা গেছে। তাঃ-২৫ জানুয়ারি ২০১৪।