জি নিউজ বিডি ডট নেটঃ- প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিরোধীদলীয় নেতা খালেদা জিয়ার প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, যুদ্ধাপরাধীদের মায়া ছেড়ে নির্বাচনে আসুন। জনগণের পাশে দাঁড়ান। তা না করে উনি (খালেদা) কর্মসূচি দিচ্ছেন, মানুষ মারছেন। তিনি বলেন, তারা জানে জনগণ নির্বাচনে তাদের ভোট দেবে না। ভোট না পাওয়ার ভয়ে, হেরে যাওয়ার ভয়ে নির্বাচনে আসছে না। কারণ তাদের অতীত কর্মকা- এ দেশের জনগণ জানে। বুধবার সকালে ধানমন্ডিস্থ আওয়ামী লীগ সভাপতির কার্যালয়ে আয়োজিত পার্লামেন্টারি বোর্ডের বৈঠকে সূচনা বক্তব্যে তিনি একথা বলেন। দলীয় মনোনয়ন চূড়ান্ত করতেই এ বৈঠক। শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ বৈঠকে বোর্ডের সদস্য সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী, আমির হোসেন আমু, তোফায়েল আহমেদ, সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত, কাজী জাফর উল্লাহ, ওবায়দুল কাদের ও সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন। বৈঠক শেষে দলের উপদফতর সম্পাদক মৃণাল কান্তি দাস সাংবাদিকদের জানান, প্রথম অধিবেশনের বৈঠকে রংপুর বিভাগের মনোনয়ন চূড়ান্ত করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবারও বৈঠক চলবে এবং বিভাগওয়ারি মনোনয়ন চূড়ান্ত করা হবে। নির্বাচনী তফসিল প্রত্যাখ্যান ও বিরোধী দলের অবরোধের মধ্যে জ্বালাও-পোড়াও এবং নাশকতার কঠোর সমালোচনা করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, আন্দোলনের কর্মসূচির নামে পুড়িয়ে মানুষ হত্যা করছেন। জনগণের সম্পদ আগুন দিয়ে পুড়ছেন। সরকারি সম্পদ রেল ও বাসে আগুন ধরিয়ে জ্বালিয়ে দিচ্ছেন। এর দায় বিরোধীদলীয় নেতাকেই নিতে হবে। শেখ হাসিনা বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে ইঙ্গিত করে বলেন, এক সময় উনিও হুকুমের আসামি হিসেবে চিহ্নিত হবেন। তিনি বলেন, নির্বাচন যথাসময়ে হবে। হাইকোর্ট থেকে জামায়াতের নির্বাচনের ওপর নিষেধাজ্ঞা আছে। আর জামায়াতের প্রতি সহানুভূতির কারণেই বিরোধীদলীয় নেতা নির্বাচন করতে চাইছেন না। বিরোধীদলীয় নেতা যুদ্ধাপরাধীদের স্বার্থ রক্ষা করতে গিয়ে জনগণের স্বার্থ বিসর্জন দিচ্ছেন, এটা খুবই দুঃখজনক। তাছাড়া নির্বাচন কমিশন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। প্রয়োজনে সেনা মোতায়েনের কথাও বলেছে নির্বাচন কমিশন। তারপরও উনি নির্বাচনে আসবেন না। আসলে জামায়াতের সখ্য ছেড়ে নির্বাচনে আসতে চাচ্ছেন না। তাঃ-২৮ নভেম্বর, ২০১৩