অপূর্ব লাল সরকার, আগৈলঝাড়া (বরিশাল) থেকে :চাহিদানুযায়ী ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান বই সরবরাহ করতে না পারায় বরিশালের আগৈলঝাড়ায় মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষার্থিদের মধ্যে বছরের শুরুতেই নতুন বই বিতরণ অনিশ্চিত হয়ে পরেছে। বছরের শুরুর আর মাত্র ক’দিন বাকি থাকলেও এখনও চাহিদানুযায়ী বই সরবরাহ করতে পারেনি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। তবে দেশের বর্তমান রাজনৈতিক অচলাবস্থার কারণেই এমনটা হচ্ছে বলে দাবি করছে শিক্ষা অফিস। তাই বছরের প্রথম দিন শিক্ষার্থিদের হাতে নতুন বই পাওয়া অনিশ্চিত হয়ে পরেছে।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষ অফিস সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার ৪০টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, ৫টি কলেজ, ৬টি এবতেদায়ী ও দাখিল মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের জন্য ২০১৪ সালে ১ লাখ ৮৯ হাজার সেট বইয়ের চাহিদা রয়েছে। এরমধ্যে দাখিল শ্রেণীতে (ষষ্ঠ-১০ম) প্রায় ১ হাজার ৫শ’ সেট, ও এবতেদীয়া শাখায় ৯শ’ সেট বইয়ের চাহিদা রয়েছে। চাহিদানুযায়ি এ পর্যন্ত ১ লাখ ৪১ হাজার সেট বই পাওয়া গেলেও বাকী ৪৮ হাজার সেট বই কবে নাগাদ পাওয়া যাবে তা নিশ্চিত করে বলতে পারছেনা শিক্ষা অফিস। অফিস জানায়, প্রাপ্ত বই ইতোমধ্যেই তারা সংশ্লিষ্ঠ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে বিতরণ করেছে।
সংশ্লিষ্টসূত্রে জানা গেছে, বছরের শুরুতে ষষ্ঠ থেকে নবম শ্রেণীসহ প্রায় সকল শ্রেণীর পাঠ্য বইয়ের সংকট রয়েছে। এরমধ্যে ষষ্ঠ শ্রেণীর বাংলা, শারিরীক শিক্ষা, খ্রিস্ট ও হিন্দু ধর্ম বইয়ের সংকট রয়েছে। শ্রেণীভিত্তিক সংকটের বইগুলো হচ্ছে ৭ম শ্রেণীর ইসলাম ধর্ম ও চারু কারু। ৮ম শ্রেণীর বাংলা, ইংরেজি, গনিত, সমাজ বিজ্ঞান, শারিরীক শিক্ষা, চারু-কারু ও সকল সম্প্রদায়ের ধর্মের বই। নবম শ্রেণীর গনিত, পদার্থ, রসায়ন, জীব বিদ্যা, ইতিহাস, ভূগোল, হিসাব বিজ্ঞান, ব্যবসায় উদ্যোগ, শারিরীক শিক্ষা, চারু-কারু ও কম্পিউটার শিক্ষার বই। কবে নাগাদ বাকি ৪৮ হাজার সেট বই পাওয়া যাবে তা সঠিক করে বলতে পারছেনা শিক্ষা অফিস। তবে তারা বই সংকটের কারণ হিসেবে হরতাল, অবরোধকেই দায়ী করে বলেছেন রাজনৈতিক অস্থিতিশীল পরিবেশের কারণে শিক্ষার্থিরা বছরের শুরুতে সকলে হাতে নতুন বই পাচ্ছেনা।