জি নিউজ অনলাইনঃ- আদালতে মামলার জট এবং বিচার প্রার্থীদের হয়রানি কমাতে ‘সান্ধ্যকালীন’ আদালত চালু নিয়ে আলোচনা হচ্ছে৷ সংসদীয় কমিটির এ প্রস্তাবকে আইনমন্ত্রীও সম্মতি দিয়েছেন৷ এই আদালত চালু হলে বিচার বিলম্ব হওয়ার সমস্যা দূর হতে পারে৷ আইন মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি চলতি সপ্তাহে দুই শিফটের আদালতের প্রস্তাব দেয় মন্ত্রণালয়ে৷ তাদের এই প্রস্তাবের মূল উদ্দেশ্য মামলার জট কমানো৷ প্রস্তাবে তারা ভারতসহ বিভিন্ন দেশের উদাহরণও দিয়েছেন৷সংসদীয় কমিটির প্রধান সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত এমপি বুধবার ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘‘বর্তমানে উচ্চ আদালত ও নিম্ন আদালত.লাখ মামলা বিচারাধিন রয়েছে ৷ এই বিপুল সংখ্যক মামলার দ্রুত নিষ্পত্তি করতে হলে দুই আদালতেই দ্বিতীয় শিফট চালু করতে হবে৷”তিনি জানান, ‘‘পাশ্ববর্তী দেশ ভারতে চেন্নাই এবং পশ্চিমবঙ্গে সান্ধ্যকালীন কোর্ট আছে৷ আমাদের পুরোনো অবস্থা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে৷” তাঁর মতে, ‘‘নিম্ন আদালতে এটা করার জন্য, আইন লাগবে না, তবে উচ্চ আদালতের জন্য প্রয়োজন হবে৷’’ সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত বলেন, ‘‘এ জন্য দ্বিগুণ বিচারক বা জনবল লাগবে না৷ কারণ দ্বিতীয় শিফটের জন্য আলাদা ভাতা দিয়েই কর্মরত বিচারকদের কাজ করানো সম্ভব৷ এর সঙ্গে নতুন কিছু বিচারক এবং অবসরপ্রাপ্ত বিাচারকদের মধ্য থেকে অনেককে কাজে লাগানো সম্ভব৷ আর কিছু অফিস স্টাফও প্রয়োজন পড়বে৷তিনি বিকল্প আরেকটি প্রস্তাবের কথাও বলেন৷ আর সেটা হলো দুই শিফট চালু আপাতত সম্ভব না হলে বিচারকদের অতিরিক্ত ভাতা দিয়ে তাদের কর্মঘণ্টা বাড়িয়ে দেয়া৷ তাঁর মতে, দ্রুত বিচার নিষ্পত্তি করতে না পারলে সুশাসন ও গণতন্ত্র সবই ব্যর্থ হবে ৷এদিকে বুধবার আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, ‘‘ঝুলে থাকা মামলা, দ্রুত নিষ্পত্তি করতে উচ্চ ও নিম্ন আদালতের কার্যক্রম ‘দুই শিফট’ বা ‘সান্ধ্যকালীন’ কোর্ট চালুর সুপারিশটি অভিনব৷ এ প্রতিবেদনটি ডিডাব্লিউ এর, তিনি সান্ধ্যকালীন আদালতের প্রস্তাবকে বাস্তবসম্মত উল্লেখ করে বলেন, প্রস্তাবটি নিয়ে প্রধান বিচারপতির সঙ্গে কথা বলবেন তিনি৷ওদিকে সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত জানান যে, আদালতে দুই শিফট চালু করতে বিচারকদের জন্য ৫০ শতাংশ বিশেষ ভাতা দেয়ার সুপারিশ করেছে সংসদীয় কমিটি৷
মামলার জট কমাতে সান্ধ্যকালীন আদালত
Share This