ঝালকাঠী প্রতিনিধিঃ মামলা প্রত্যাহারের পর কানের চিকিৎসা শেষে র্যাবের কথিত বন্দুক যুদ্ধে পঙ্গু ঝালকাঠীর রাজাপুরের সাতুরিয়া গ্রামের কলেজ ছাত্র মোঃ লিমন হোসেন গতবৃহস্পতিবার সকালে বাড়ি ফিরেছে। ১১ দিন বঙ্গবন্দু মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে কানের চিকিৎসা শেষে গতবৃহস্পতিবার সকালে লিমন ও তার মা হেনোয়ারা বেগম লঞ্চযোগে ঝালকাঠীতে আসে আইনজীবীসহ সকলের সাথে দেখা করেন। এরপর লিমন পিরোজপুরের কাউখালীর ভাড়া বাসায় চলে যায়। এবিষয়ে লিমন জানায় কানের চিকিৎসার জন্য ১১ দিন ঢাকায় থাকার পর বাড়ীতে এসেছি সকলের সাথে দেখা করেছি। ডাক্তার বলেছে আবার মাস পরে কানের চেকাপ করতে হবে। তাই আবার ১ মাস পরে ঢাকায় গিয়ে কান চেকাপ করিয়া সমস্যা দরা পড়লে অন্য কানেও অপারেশন করতে হবে। লিমন জানায় র্যাবের দায়ের করা মামলা ২টি স্বরাষ্টমন্ত্রনালয় থেকে প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নেওয়ার পর এই প্রতম ঝালকাঠীর বাড়ীতে এসেছি এখন খুব ভাল লাগছে। কারন আগে ঝালকাঠী আসলেই মামলার হাজিরার জন্য আসতে হত। এখন আমি মুক্ত তবে যাদের জন্য পঙ্গু হয়েছি তাদেও বিচার পেলে আরও ভাল লাগবে। তাই তাকে পঙ্গু করার এবং গুলি করে হত্যা চেষ্টার অভিযোগে ২০০১১ সালে ১০ এপ্রিল তার মা হেনোয়ারা বেগম বরিশালে র্যাব-৮-এর তৎকালীন উপ-সহকারী পরিচালক (ডিএডি) লুৎফর রহমান সহ র্যাবের ছয় সদস্যদের বিরুদ্ধে মামলার সঠিক বিচার চায় লিমন। মামলাটি বর্তমানে জেলা দায়রা জজ আদালতে চলমান রয়েছে। আগামী ১৩ আগস্ট শুনানির দিন রয়েছে।
মোঃ সাইফুল ইসলাম/রাজাপুর/ ঝালকাঠী/জি নিউজ