অনলাইন ডেস্ক ঃ-মিশরে নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে ক্ষমতাচ্যুত প্রেসিডেন্ট মুহাম্মদ মুরসির সমর্থকদের ব্যাপক সংঘর্ষে অন্তত ১৯ ব্যক্তি নিহত ও শত শত মানুষ আহত হয়েছে। মূলত নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতেই এসব ব্যক্তি হতাহত হয়েছে। শুক্রবার দেশব্যাপী সরকার বিরোধীরা বিক্ষোভ দেখাতে গেলে তাদের ওপর হামলা চালায় পুলিশ ও সেনাবাহিনী। এ সময় নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা টিয়ারগ্যাস, পাখি মারা বন্দুক এবং সরাসরি বন্দুকের গুলিবর্ষণ করে। রাজধানী কায়রোর পাশাপাশি আলেকজান্দ্রিয়া, সুয়েজ, ইসমাইলিয়া ও ফাইয়ুম শহরে হতাহতের ঘটনা ঘটে। আসিউত ও সিনাই অঞ্চলেও সংঘর্ষ হয়েছে তবে সেসব এলাকায় কেউ নিহত হয়নি। শুক্রবারের সংঘর্ষের সময় নিরাপত্তা বাহিনী শত শত বিক্ষোভকারীকে আটক করে। সামরিক শাসনের অবসান ও নয়া সংবিধানে বিরোধীদলগুলোর মতামতের প্রতিফল ঘটানোর দাবিতে জুমার নামাজের পর সরকার বিরোধী ব্যাপক বিক্ষোভ পালনের ডাক দিয়েছিল মুরসির সমর্থক ইখওয়ানুল মুসলিমিনের নেতাকর্মীরা। গত বছরের জুলাই মাসে সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট মুহাম্মদ মুরসি ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর মিশরে সে বিক্ষোভ শুরু হয় সম্প্রতি নয়া সংবিধান প্রণয়ন নিয়ে তা আবার চাঙ্গা হয়ে ওঠে। যে দলটি এক বছর আগেও দেশটির ক্ষমতায় ছিল নয়া সংবিধানে তাদের মতামতের কোনো প্রতিফলন ঘটেনি। নতুন সংবিধানে ইখওয়ানুল মুসলিমিনকে সাবেক স্বৈরশাসক হোসনি মুবারকের শাসনামলের মতো নিষিদ্ধ করা হয়েছে। খুব শিগগিরই এ সংবিধানের ওপর গণভোট হওয়ার কথা রয়েছে। পাশাপাশি সেনা অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত প্রেসিডেন্ট মুরসি’র বিচার নিয়ে জনগণ ক্ষুব্ধ হয়ে রয়েছে। ২০১১ সালের গোড়ার দিকে মুবারকবিরোধী বিক্ষোভের সময় জেল ভেঙে পালিয়ে যাওয়ার ব্যাপারে মুরসির বিরুদ্ধে শুনানি অনুষ্ঠিত হচ্ছে। কিন্তু মুরসির সমর্থকরা বলছেন, তার বিরুদ্ধে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে এ অভিযোগ আনা হয়েছে। তাকে ক্ষমতা ফিরিয়ে দেয়ারও আহ্বান জানাচ্ছে ইখওয়ানের নেতা-কর্মীরা।খবর রেডিও তেহরান এর#