আব্দুল হাকিম রাজ,মৌলভীবাজারঃ অবরোধের কারণে মৌলভীবাজারের ব্যবসায়িক কেন্দ্র শ্রীমঙ্গলের ব্যবসা-বাণিজ্যে স্থবিরতা দেখা দিয়েছে। অলস সময় পার করছেন তারা। টানা কয়েক দিন ধরে ব্যবসা-বাণিজ্যে স্থবিরতার কারণে লোকসানও গুনতে হচ্ছে।শ্রীমঙ্গলের সেন্ট্রাল রোড ও পোস্ট অফিস রোডে স্বাভাবিক সময়ে দৈনিক ৫-৬ কোটি টাকার পণ্য লেনদেন হয়। কিন্তু হরতাল ও অবরোধের কারণে ক্রেতা না থাকায় বাণিজ্যিক পণ্যের লেনদেন কমেছে ৭০ শতাংশ। গতকাল সকাল ৯টা থেকে বেলা ২টা পর্যন্ত বিভিন্ন দোকান ঘুরে দেখা যাচ্ছে, ব্যবসায়ীরা গল্প-গুজব করে সময় পার করছেন। কোনো দোকানেই ক্রেতা নেই। চাল, পেঁয়াজ ও চিনির আড়তগুলোয় একই অবস্থা।শ্রীমঙ্গলে সুপারির পাইকারি আড়ত আছে ১০টি, ভুসিমালের ২০ এবং চালের আছে আটটি। এসব আড়ত থেকে মৌলভীবাজার জেলা শহর, রাজনগর, বড়লেখা, জুড়ি, কুলাউড়া, কমলগঞ্জ, সিলেট জেলার জকিগঞ্জ, বিয়ানীবাজার, গোলাপগঞ্জ, ছাতক, সুনামগঞ্জ ও হবিগঞ্জে পণ্য সরবরাহ করা হয়। সাধারণত সপ্তাহের শনি ও মঙ্গলবার এসব এলাকা থেকে পাইকাররা এসে পছন্দমতো পণ্য কেনেন। কিন্তু গত মঙ্গলবার থেকে অবরোধের কারণে কোনো ক্রেতা শ্রীমঙ্গল আসতে পারেননি। এতে বিপাকে পড়েছেন এখানকার ব্যবসায়ীরা। এছাড়া মোবাইল ফোনে অনেক ব্যবসায়ী বিভিন্ন পণ্যের ক্রয়াদেশ দিলেও পরিবহন চলাচল বন্ধ থাকায় মহাজনরা পণ্য পাঠাতে পারননি।এ ব্যাপারে সুপারি ব্যবসায়ী লাল মিয়া এমএনএকে বলেন, যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকায় বিভিন্ন স্থানে সুপারি পাঠাতে পারছেন না। যে কারণে পাইকারদের কাছ থেকে কোনো ক্রয়াদেশ নিচ্ছেন না।ভূসিমালের ব্যবসায়ী উত্তম পাল জানান, অবরোধের কারণে তাদের ব্যবসায়ে ধস নেমেছে। কোনো ক্রেতা আসেননি। তাই বসে অলস সময় পার করছেন। স্বভাবিক সময়ে দৈনিক যে আয় হতো, এখন তা ৭০ শতাংশ কমে গেছে। এ অবস্থা চলতে থাকলে সামনের দিনগুলোয় মহাসংকটে পড়তে হবে।শ্রীমঙ্গল ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. কদর আলী এমএনএকে বলেন, ক্রেতা সংকটে ব্যবসা-বাণিজ্যে স্থবিরতা বিরাজ করছে। গাড়ি চলাচল নেই বলে ক্রেতা আসেননি। তারা কোনো ক্রেতাকে পণ্য সরবরাহ করতে পারছেন না। এভাবে চলতে থাকলে ব্যবসায়ীরা মাঠে মারা যাবেন।