মৌলভীবাজারে তৃতীয় শ্রেনীর স্কুলছাত্রী ধর্ষিত

মৌলভীবাজার প্রতিনিধি,জি নিউজ ঃ মৌলভীবাজারের রাজনগর উপজেলার ফতেপুর ইউনিয়নের গবিন্দপুর গ্রামে তৃতীয় শ্রেনীর এক এতিম শিশু কন্যাকে একই গ্রামের দুইজন লম্পট পালাক্রমে ধর্ষন করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনাঠি জানাজানি হবার পর স্থানীয় প্রভাবশালী মহল ধর্ষকদের কাছ থেকে শিশুর ইজ্জতের মুল্য ১ লাখ টাকা আদায় করে ধর্ষিতার সৎমায়ের হাতে চল্লিশ হাজার টাকা ধরিয়ে দিয়ে বাকি ৬০ হাজার টাকা প্রভাবশালী মহলের পকেটে। জানা যায়,গত ২১ মার্চ সকাল অনুমান ৯ ঘটিকায় ধর্ষিতা শিশুটি মাঠে গরু চড়াতে গেলে পাশের বাড়ীর মৃত আব্দুল মছব্বিরের পুত্র রিয়াজ উদ্দীন(৫০) শিশুটিকে ফুঁসলিয়ে তার নিজ বাড়ীর পুকুরের উত্তর পারের নির্জনস্থানে নিয়ে যায়।লোকচক্কুর আড়ালে শিশুটির মুখ গামছা দিয়ে বেঁধে ধর্ষন করে হাতে একশ টাকা ধরিয়ে দেয়। আড়াল থেকে ঘটনাটি উক্ত গ্রামের কদ্দুছ মিয়া দেখে ফেলে এগিয়ে আসতে থাকলে রিয়াজউদ্দীন শিশুটিকে সেখানে রেখে পালিয়ে যায়। নরপশু কুদ্দুছ শিশুটির অসহায়ত্বের কথা বিবেচনা না করে মুখ চেপে ধরে সেও ধর্ষন করে। বাড়ীতে যাবার পর শিশুটির সৎমা ঘটনাঠি টের পেয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করলে শিশুটি ধর্ষন ঘটনার কথা মায়ের কাছে জানায়। সৎমা ঘটনাঠি বাড়ীর অন্যান্য লোকজনকে জানালে লম্পট রিয়াজ উদ্দীন শিশুটির সৎমাকে মোঠা অংকের টাকার লোভ দেখিয়ে ঘটনাঠি ধামাচাপা দেবার চেষ্টা চালায়। স্থানীয় প্রভাবশালী চুয়াবালী গ্রামের জিন্দাল মিয়া,রামপুর গ্রামের জামাল মিয়া(রিয়াজ উদ্দীনের দুলাভাই)ধর্ষিতা কন্যা শিশুর চাচা মাসুক মিয়ার সহায়তায় রাতে এক গোপন বৈঠকে বসে শিশুটির ইজ্জতের মুল্য বাবদ ১ লাখ টাকা ধর্ষকদের কাছ থেকে আদায় করে ধর্ষিতা শিশুর সৎমায়ের হাতে চল্লিশ হাজার টাকা ধরিয়ে দিয়ে ঝামেলা এড়াতে শিশুটিকে নিয়ে অন্যত্র চলে যেতে বাধ্য করে। ঘটনার ১১ দিন পর স্থানীয় লোকমাধ্যমে ঘটনাঠির খবর এ প্রতিবেদকের কাছে আসলে ২ মার্চ সকালে ধর্ষিতা শিশুর বাড়ী গিয়ে দেখা যায়,তাদের বসত ঘরে তালা ঝুলছে।প্রতিবেশী মাসুক মিয়া ও আওলাদ মিয়ার স্ত্রী জানালেন ৮ দিন ধরে তারা কেউ বাড়ীতে নেই।তবে কোথায় গেছে তা সঠিক করে বলতে পারছেনা। বিষয়টি ৩ মার্চ এ প্রতিবেদক রাজনগর থানার ওসিকে অবগত করলে তিনি ব্যাপারটির আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের আস্বাস দিয়ে স্থানীয় মেম্বার মইন উদ্দীন সহ মেয়ের সৎমাকে থানায় ডেকে নিয়ে ভিকটিম শিশুটিকে ৫ মার্চ সকাল ১০ টার মধ্যে থানায় হাজির করার মুছলেকা দেন। মুছলেকা মোতাবেক ৫ মার্ছ সকাল ১২ টায় ভিকটিম শিশুকে থানায় হাজির করলে সে ধর্ষনের কথা স্বীকার করে। পরে ভিকটিমের জবানবন্ধী মোতাবেক থানায় মামলা রেকর্ড করা হয়। মামলায় কদ্দুছ মিয়াকে বাদীপক্ষ আসামী না করে সুধুমাত্র রিয়াজ উদ্দীনকে আসামী করায় জনমনে দেখা দেয় নানা প্রশ্ন। একটি সুত্র জানায়,মোঠা অংকের টাকার বিনিময়ে শিশুটির সৎমা কদ্দুছ মিয়ারকে আসামী করতে বারন করেন শিশুটিকে। এদিকে ধর্ষন ঘটনার পরে ধর্ষকদের কাছ থেকে ১ লাখ টাকা আদায়কারী বিচারকদের বিরুদ্ধে কোন আইনী ব্যবস্থা নেয়া হবেকিনা এমন প্রশ্নের জবাবে মামলার আই,ও দৌস মোহাম্মদ জানান,তাদের নাম আমার ডায়রীতে রয়েছে।তদন্তের পর প্রয়োজন হলে তাদেরকে ও উক্ত মামলায় আসামী করা হবে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ধর্ষিতা বিকাল ৫ টায় শিশুটির মেডিকেল পরিক্ষা সম্পন্নের প্রস্তুতি চলছে বলে পুলিশ জানায়।

 

Exit mobile version