অনলাইন ডেস্ক:- জাপানে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক ঘাঁটিতে সংঘটিত বিভিন্ন যৌন অপরাধের দায়ে দেয়া শাস্তি পর্যালোচনা করে এমন তথ্য পেয়েছে বার্তা সংস্থা এপি৷ ফ্রিডম অফ ইনফরমেশন অ্যাক্ট’-এর আওতায় এ সংক্রান্ত এক হাজারেরও বেশি নথি হাতে পেয়েছে এপি৷ তাতে দেখা যাচ্ছে, যৌন অপরাধের দায়ে অভিযুক্ত বেশিরভাগ মার্কিন সেনাকে জেলে যেতে হয়নি৷ বরং শাস্তি হিসেবে তাদের জরিমানা বা পদাবনতি করা হয়েছে৷ কিছু কিছু ক্ষেত্রে ঘাঁটিতে চলাফেরায় নিষেধাজ্ঞা আরোপ ও সামরিক বাহিনী থেকে চাকরিচ্যুতির ঘটনা ঘটেছে৷দুটো ধর্ষণ মামলার ক্ষেত্রে সামরিক বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা কোর্ট মার্শাল করার আবেদন খারিজ করে অভিযুক্তদের খালাস করে দিয়েছেন, এমন ঘটনারও প্রমাণ পাওয়া গেছে৷প্রকাশিত এসব তথ্য মার্কিন সামরিক বাহিনীর আইনি ব্যবস্থার সংস্কারের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেছে৷ ‘ইউনাইটেড স্টেটস সেনেট আর্মড সার্ভিসেস সাব-কমিটি অন পার্সোনেল’এর প্রধান সেনেটর কার্স্টেন গিলিব্রান্ডের প্রশ্ন, ‘‘সামরিক বাহিনীর আইনি প্রক্রিয়ায় সংস্কারের প্রয়োজনীয়তা অনুভব করতে আমাদের আর কতগুলো ধর্ষণ ঘটনার জন্য অপেক্ষা করতে হবে?”গিলিব্র্যান্ড ও তাঁর সহকর্মীরা এ সংক্রান্ত একটি বিলের খসড়া তৈরি করেছেন৷ তাতে বড় বড় অপরাধের ঘটনার বিচার করার সিদ্ধান্ত নেয়ার যে ক্ষমতা বর্তমানে কম্যান্ডারদের রয়েছে, সেটা বাতিল করে দেয়ার পরামর্শ দেয়া হয়েছে৷মার্কিন ঊর্ধ্বতন সামরিক কর্মকর্তারা অবশ্য এই পরিকল্পনার বিরোধিতা করছেন৷ তাঁদের দাবি, এভাবে সমস্যার সমাধান হবে না৷ খবর ডিডাব্লিউ এর তাঃ- ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৪।