জি নিউজঃ- জামায়াতে ইসলামীর আমীর মাওলানা মতিউর রহমান নিজামী ও নায়েবে আমীর মাওলানা দেলাওয়ার হোসেন সাঈদীর মুক্তির দাবিতে বিক্ষোভ কর্মসূচি চলাকালে রাজধানী ঢাকা, নাটোরের হরিশপুর এবং নোয়াখালীর সোনাইমুড়িতে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে অন্তত ৩০ জন আহত হয়েছে। আহতদের মধ্যে চারজন গুলিবিদ্ধ বলে জানা গেছে। রাজধানীতে মিছিলে গুলি, টিয়ারশেল নিক্ষেপ,প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, আজ (সোমবার) সকাল সোয়া ৯টার দিকে ঢাকা মহানগর জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারী মুহাম্মদ সেলিম উদ্দিনের নেতৃত্ব কয়েকশ’ শিবির কর্মী মহাখালী ওয়ারলেস গেটে থেকে একটি মিছিল বের করে। মিছিলটি মহাখালীর দিকে যেতে চাইলে পুলিশ টিয়ারশেল মেরে তাদের ছত্রভঙ্গ করার চেষ্টা করে। এ সময় ক্ষুব্ধ শিবির কর্মীরা পুলিশের উপর ইট পাটকেল নিক্ষেপ করলে পুলিশও পাল্টা টিয়ারশেল ও রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে। এতে আহত হন ১০ শিবির কর্মী। এ সময় ঘটনাস্থল থেকে এক শিবির কর্মীকে আটক করে পুলিশ। তবে ঢাকা মহানগর (উত্তর) শিবিরের প্রচার সম্পাদক সাগর দাবি করেছেন, দুই শিবির কর্মীকে আটক করা হয়েছে। নাটোরে সংঘর্ষে আহত ১৫, নাটোরে বড় হরিশপুর বাইপাস এলাকায় পুলিশের সাথে জামায়াত-শিবিরের সংঘর্ষে ১৫ জন আহত হয়েছেন। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, নাটোরের হরিশপুরে সোমবার সকাল ৮টার দিকে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে জামায়াতে ইসলামী বিক্ষোভ মিছিল বের করে। মিছিলটি শহরে প্রবেশের মুখে একতা মোড়ে এলে পুলিশ বাধা দেয়। এসময় বিক্ষুব্ধ কর্মীরা পুলিশের ওপর ইটপাটকেল নিক্ষেপ শুরু করে। পুলিশ জামায়াত কর্মীদের ছত্রভঙ্গ করতে কয়েক রাউন্ড রাবার বুলেট ও টিয়ারশেল ছোড়ে।সংঘর্ষে নাটোর এমএস কলেজ ইসলামী ছাত্র শিবিরের ছাত্র সংসদের সাবেক জিএস সামছুল ইসলাম কল্লোলসহ দুইজন গুলিবিদ্ধ হন। গুলিবিদ্ধ অন্য জনের পরিচয় জানা যায়নি। তাদের রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে পাঠানো হচ্ছে।নাটোর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসলাম উদ্দিন জানান, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে এবং আত্মরক্ষার্থে পুলিশ কয়েক রাউন্ড রাবার বুলেট ও টিয়ারশেল ছোড়ে। বর্তমানে পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। নোয়াখালীতে পুলিশ-জামায়াত ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া, আটক ৭
নোয়াখালীর সোনাইমুড়ীতে পুলিশের সঙ্গে জামায়াত-শিবিরের পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ও ইটপাটকেল ছোড়ার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় পুলিশ জামায়াত-শিবিরের সাত কর্মীকে আটক করেছে।স্থানীয় এলাকাবাসী জানায়, কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে সকাল সোয়া নয়টার দিকে সোনাইমুড়ী ডাক বাংলো এলাকা থেকে জামায়াত-শিবিরের শতাধিক কর্মী-সমর্থক বিক্ষোভ মিছিল বের করেন। মিছিলটি শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে কলেজ গেটে গিয়ে শেষ হয়। এর পর সেখানে এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করেন মিছিলকারীরা। সমাবেশের শেষ মুহূর্তে পুলিশ তাঁদের ছত্রভঙ্গ করতে লাঠিপেটা শুরু করে। এ সময় দুই পক্ষের পাল্টাপাল্টি ধাওয়া শুরু হলে পুলিশ শটগান থেকে ছয়টি গুলি ছোড়ে। প্রায় ১৫-২০ মিনিট ধরে দুই পক্ষের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া চলে। এ সময় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়লে দোকানিরা বাজারের দোকানপাট বন্ধ করে দেন। পরে পুলিশ ধাওয়া করে জামায়াত ও শিবিরের সাতজন কর্মীকে আটক করে। এ প্রতিবেদনটি রেডিও তেহরান এর, এ ঘটনায় ইমাম হোসেনসহ (২৫) অন্তত পাঁচজন আহত হয়েছেন বলে জামায়াত দাবি করেছে। এছাড়া, কেন্দ্রীয় কর্মসূচি অনুযায়ী বগুড়া ও লক্ষ্মীপুরে বিক্ষোভ মিছিল- সমাবেশ করেছে জামায়াতে ইসলামী।
রাজধানী ও নাটোরে জামায়াতের মিছিলে গুলি, সংঘর্ষে আহত ৩০
Share This