জি নিউজ বিডি ডট নেট ঃ- রাজধানীর পাশে টঙ্গীর তুরাগ নদীর তীরে লাখ লাখ ধর্মপ্রাণ মুসল্লির অংশগ্রহণের মধ্য দিয়ে আজ শুক্রবার বাদ ফজর আ’ম বয়ানে শুরু হচ্ছে তাবলিগ জামাতের ৪৯তম বিশ্ব ইজতেমার প্রথম দফা। দ্বিতীয় দফায় ইজতেমা শুরু হবে আগামী ৩১ জানুয়ারি। আজ শুক্রবার আনুষ্ঠানিকভাবে ইজতেমা শুরু হওয়ার কথা থাকলেও ইতোমধ্যে বিপুলসংখ্যক মুসল্লি ইজতেমাস্থলে সমবেত হওয়ায় গতকাল বাদ আসর থেকেই ময়দানে ঈমান, আমল ও আখলাকসহ তাবলিগের ছয় ওছুল সম্পর্কে বয়ান শুরু হয়েছে। বিশ্ব ইজতেমায় যোগ দিতে দেশ-বিদেশের লাখ লাখ মানুষ এখন টঙ্গীর পথে। গতকাল ইজতেমা ময়দান ঘুরে দেখা গেছে, মুসল্লিরা নিজ নিজ জেলার নির্ধারিত খিত্তায় অবস্থান নিচ্ছেন। আজ ইজতেমার প্রথম দফার প্রথম দিন বেলা দেড়টায় অনুষ্ঠিত হচ্ছে উপমহাদেশের বৃহত্তম জু’মার জামাত। ইজতেমায় অংশ নিতে দেশের বিভিন্ন জেলার মুসল্লিদের স্রোত এখন টঙ্গীমুখো। ট্রেন, বাস, ট্রাক, প্রাইভেট কার, ট্যাক্সি, স্কুটার, নৌকা ও হেঁটে লাখ লাখ মুসল্লি ইজতেমায় যোগ দিচ্ছেন। বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকেও মুসল্লিদের আগমন অব্যাহত রয়েছে। ইতোমধ্যে বিভিন্ন দেশের কয়েক হাজার মুসল্লি ইজতেমায় যোগ দিয়েছেন। রোববার দুপুরে আখেরি মুনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হবে এবারের বিশ্ব ইজতেমার প্রথম দফা। চার দিন বিরতি দিয়ে আবার ৩১ জানুয়ারি শুরু হচ্ছে বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় দফা। ইজতেমাস্থলে মুসল্লিদের নিরাপত্তা দিতে পুলিশ, র্যাব ও আনসার সদস্যসহ বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা নিরাপত্তা ও শান্তিশৃঙ্খলার কাজে নিয়োজিত রয়েছেন। ইতোমধ্যে বিশ্ব ইজতেমার সব প্রস্তুতি শেষ হয়েছে। ১৬১ একরের সুবিশাল ময়দানকে ঢেকে দেয়া হয়েছে চটের শামিয়ানা দিয়ে। ইজতেমার সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে মাঠের চার দিকে পুলিশ, র্যাব, আনসারসহ বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার সমন্বয়ে গঠিত পাঁচ সেক্টরের সদস্যরা তিন স্তরের নিñিদ্র নিরাপত্তা ব্যূহ গড়ে তুলেছে। সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ ও পর্যবেণের জন্য মাঠের গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলোতে বিভিন্ন সংস্থার নিয়ন্ত্রণ ক, সুউচ্চ পর্যবেণ টাওয়ার ও সিসি টিভি স্থাপন করা হয়েছে। ইতোমধ্যে টঙ্গীর পুরো এলাকাকে নিরাপত্তার জালে ঢেকে দেয়া হয়েছে। সরকারের সংশ্লিøষ্ট বিভাগ ও ইজতেমা কর্তৃপ ইজতেমার সার্বিক প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে। মাঠে সার্বণিক বিদ্যুৎ ও পানি সরবরাহ এবং মুসল্লিদের স্বাস্থ্যসেবা দিতে পর্যাপ্ত ফ্রি মেডিক্যাল ক্যাম্প স্থাপনসহ টঙ্গী সরকারি হাসপাতালে দ্বিগুণ শয্যা বাড়ানো হয়েছে। হাসপাতালে রোগী স্থানান্তরে থাকবে সার্বণিক অ্যাম্বুলেন্স এবং অগ্নিনির্বাপণে থাকবে দমকলবাহিনী। তাবলিগ জামাতের নিজস্ব স্বেচ্ছাসেবকদের সাথে সেখানে নিয়োজিত রয়েছেন র্যাব, পুলিশ, আর্মড ব্যাটালিয়ন পুলিশ, আনসার সদস্যসহ অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বহিনীর সদস্যরা। পকেটমার ও ছিনতাইকারী পাকড়াও করতে সার্বণিকভাবে থাকছে গোয়েন্দা দল। ইজতেমা চলাকালে মোবাইল কোর্ট সার্বণিক দায়িত্ব পালন করবেন। বিগত-১৯৬৬ সাল থেকে গাজীপুরের টঙ্গীর তুরাগতীরে বর্তমানস্থলে বিশ্ব ইজতেমা অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে। উল্লেখ- ১৯৯৫ সালে তৎকালীন বিএনপি সরকারের প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া তুরাগতীরের ১৬১ একর জমি স্থায়ীভাবে ইজতেমার জন্য বরাদ্দ দেন। তাঃ- ২৪ জানুয়ারি ২০১৪।