মৌলভীবাজার প্রতিনিধি,জি নিউজঃ নারী সংক্রান্ত মামলা-মোকদ্দমার জের ধরে ১৬ বছরের এক স্কুল ছাত্র কিশোরকে আটকে রেখে মোবাইল ফোনে ২০ লক্ষ টাকা মুক্তিপণ দাবী করে ফেসে গেছেন ৩ যুবক। পুলিশ কিশোরটিকে উদ্ধার করতে বন্ধীস্থানে নিস্ফল অভিযান পরিচালনা করেছে।ঘটনার বিবরণে জানা যায়,সিলেটের গোলাপগঞ্জ থানার ঢাকা দক্ষিণ(মুকিতলা) গ্রামের ছয়ফুল মিয়ার সাথে নারী সংক্রান্ত ব্যাপারে একই থানার লক্ষণাবন গ্রামের আলমগীর হোসেন তোয়েলের মামলা-মোকদ্দমা চলে আসছিল। এ নিয়ে তোয়েল মিয়া কিছুদিন পুর্বে ২০ দিন জেলে ও ছিল।জেল থেকে বের হয়ে তোয়েল তার সাঙ্গপাঙ্গদের নিয়ে ছয়ফুল আহমদের স্কুল পড়ুয়া কিশোর রায়হান মিয়া(১৬) কে সিলেটের মোগলাবাজার থানার পুর্ণখোলা গ্রাম থেকে অপহরণ করে।অপহরনের পর রায়হানকে মৌলভীবাজার জেলার রাজনগর উপজেলার গবিন্ধপুর গ্রামের গোপরান মিয়ার বাড়ীতে আটকে রেখে রায়হানের পিতা ছয়ফুল আহমদের কাছে মোবাইল ফোনে ২০ লক্ষ টাকা মুক্তিপণ দাবী করে।বিষয়টি রায়হানের পিতা ছয়ফুল আহমদ গোলাপগঞ্জ থানাকে অবগত করলে বিষয়টি নিয়ে পুলিশ গোপনে তদন্ত শুরু করলে রায়হানের অবস্থান সনাক্ত করতে পারেনি পুলিশ। ৮ মে বুধবার আটক রায়হান কৌশলে গোপরান মিয়ার বাড়ী থেকে বন্ধীদশা থেকে পালিয়ে গোপরান মিয়ার পাশের বাড়ী পালিয়ে গিয়ে ঘটনাঠি মোবাইল ফোনে রায়হানের পিতা ছয়ফুল আহমদকে জানালে ছয়ফুল আহমদ গোলাপগঞ্জ থানাকে অবগত করেন। কিছুক্ষণ পর অপহরনকারী গোপরান সহ ৩/৪ জন অপহরনকারী রায়হানের চোখ বেঁধে সিএনজিতে তুলে অন্যত্র নিয়ে যায়।খবর পেয়ে গোলাপগঞ্জ থানা পুলিশ রাজনগর থানার ওসি তদন্ত মোজাম্মেলকে নিয়ে সরেজমিন গবিন্দপুর গ্রামে নিস্ফল অভিয়ান চালায়।একটি সুত্র জানায়,গবিন্ধপুর গ্রামে পুলিশ অভিযানের খবর শুনে অপহরন কারী গোপরান অপহরনকৃত রায়হানকে রাজনগর উপজেলা আওয়ামীলিগের একজন নেতার কাছে রায়হানকে হস্তান্তর করার কথা রয়েছে।রাজনগর থানার ওসি নাজিম উদ্দীন জানান,ঘটনাঠি গোলাপগঞ্জ থানার তাই গোলাপগঞ্জ পুলিশেকে সহযোগিতার জন্য আমার থানা থেকে পুলিশ দিয়েছি। অপহরনের স্বীকার রায়হানকে উদ্ধারের জোর চেষ্টা চলছে।
আব্দুল হাকিম রাজ/ জি নিউজ