ঝিনাইগাতী প্রতিনিধিঃ শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলায় ৬ জুন তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে সাংবাদিকদের মধ্যে হাতাহাতির সৃষ্টির এক পর্যায়ে ৩ সাংবাদিক আহত হয়। আহত সাংবাদিকদ্বয় ঝিনাইগাতী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। নিজের অপকর্ম ঢাকার জন্য জেলা ও উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডের স্বাক্ষরিত ৩৩ নং রাজাকার আরফান আলী (এসএম তমিজ উদ্দিন) এর জ্ঞানপাপী ছেলে আমিরুজ্জামান লেবু উল্টো ৩ সাংবাদিকসহ ২জন বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গের নামে শেরপুর চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট কোর্টে মিথ্যা মামলা দায়েরের ঘটনায় তীব্র নিন্দা জ্ঞাপন করেছেন সুশীল সমাজ, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, প্রগতিশীল সাংবাদিকদ্বয়, বিভিন্ন ব্যবসায়ীক নেতৃবৃন্দ। ঘটনার বিবরণে জানা গেছে, মামলাবাজ আমিরুজ্জামান লেবু দীর্ঘদিন থেকে প্রেসক্লাবের জায়গা, আসবাবপত্র আত্মসাত করে সাংবাদিকদের নিয়ে গ্রুপিং লবিং সৃষ্টি করে আইন শৃক্সখলা অবনতি করার চেষ্টায় লিপ্ত রয়েছে। সাংবাদিকতাকে পুঁজি করে স্কুলের প্রধান শিক্ষকের সুবাধে বিদ্যালয়ে গাছ কর্তন করে লক্ষ লক্ষ টাকা আত্মসাত করার অভিযোগও দিয়েছিলেন ওই স্কুলের ছাত্র ছাত্রীবৃন্দ। বিগত তৎকালীন সংসদ সদস্য মরহুম এম এ বারী এর হাতেও লাঞ্চিত ও জুতা পেটা খেয়েছেন তার অপকর্মের জন্য। এবং কি রাজনৈতিক কর্মকান্ডে সংগঠন বিরোধী কার্যকলাপের দরুন তাকে বহিষ্কারও করা হয়েছিল ও সারা বাংলায় রুশদীর বিচারের জন্যে মুসলিম জনতা যখন এক কাতারে ঠিক ওই মুহুর্তেই তিনি রুশদীর পক্ষ অবল¤^ন করায় ঝিনাইগাতীর জনতা তাকে ধাওয়া করে। এক বাড়ি থেকে বোরকা পড়ে পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়। সম্প্রতি বিদ্যালয়ের জায়গা নিয়েও মামলা মোকদ্দমায় তিনি বিতর্কিত হয়েছেন। এ ব্যাপারেও এলাকাবাসী তাকে অন্য চোখে দেখছেন। উপজেলা নির্বাচনে প্রধান শিক্ষকের পদ থেকে অব্যাহতি দিয়ে নির্বাচন করায় তার জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছিল। পরবর্তীতে আবার বিদ্যালয়ে প্রবেশ করার জন্য স্থানীয় সংসদ সদস্যের স্মরনাপন্ন হয়। এলাকাবাসী ক্ষিপ্ত হয়েছিল তিনি যেন বিদ্যালয়ে পুনরায় যোগদান করতে না পারে। ছাত্র জীবনে ক্যাডার ভিত্তিক জীবন যাপন করে চুরি করে সমাজ সেবা কার্যালয়ে ইউনিয়ন সমাজকর্মী হিসেবে বহু দিন সরকারী ভাতা উত্তোলন করেন। ঘটনা যখন ফাঁস হয় ইউনিয়ন সমাজকর্মী হিসেবে তাকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। তার সাংবাদিকতার অন্তরালে মিথ্যাকে সত্য, সত্যকে মিথ্যা বলে খবর পরিবেশন করে এবং অসামাজিক কার্যকলাপে ঝিনাইগাতীবাসী জিম্মি হয়ে পড়েছে ইতিমধ্যেই। সাংবাদিক হয়েও সাংবাদিকদের ক্যাডার বানিয়ে সংবাদ প্রকাশ করায় তার বিরুদ্ধে অবস্থান নেয় ঝিনাইগাতীর সাংবাদিকদ্বয়। এবং কি শিক্ষকতা করেও ছাত্রীকে বিবাহ করতে বাধ্য হয়েছে এই আমিরুজ্জামান লেবু। বহু জল্পনা কল্পনা শেষে বিগত ২ বছর আগে স্থানীয় সংসদ সদস্য ইঞ্জিনিয়ার একেএম ফজলুল হক, উপজেলা চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম বাদশা, উপজেলা নির্বাহী অফিসার রবিউল আলম, জেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি মনিরুল ইসলাম লিটন, সাধারন সম্পাদক কাকন রেজা, ইটিভির প্রতিনিধি শরিফুর রহমান, আরটিভির প্রতিনিধি মুগনিউর রহমান মনি, স্থানীয় রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ, সুশীল সমাজ সকলের উপস্থিতিতে একটি পূর্ণাঙ্গ প্রেসক্লাব গঠন করা হয়। এর পর থেকেই সংগঠনের পিছু নেয় মামলাবাজ আমিরুজ্জামান লেবু। প্রেসক্লাবের সাধারন সম্পাদক গোলাম রব্বানী টিটু ও সংখ্যাগরিষ্ঠ সাংবাদিকদ্বয়কে ব্যতিরেকে রাতারাতি প্রেসক্লাবের আসবাবপত্র, ঘরের জামানত বাবদ ১০ হাজার টাকা, ক্লাবের সাইন বোর্ড আত্মসাত ও তার অপকর্ম ঢাকার লক্ষ্যে তার শীর্ষ ৩ জনকে ম্যানেজ করে নিজেই সভাপতির আত্মপ্রকাশ ঘটিয়ে জোর গলাবাজি করতে থাকে। সাংবাদিকরা টের পেয়ে তার বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে ঝিনাইগাতী পূর্ণাঙ্গ প্রেসক্লাব গঠনকল্পে দলমত নির্বিশেষে একটি আহবায়ক কমিটি গঠন করা হয়। আহবায়ক হারুন অর রশিদ দুদু ৪৫ দিন সময় নিয়ে একটি গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় নির্বাচনের মাধ্যমে প্রতিনিধিত্ব করার আশ্বাস দিলে সকলেই এক মত পোষন করলেও সটকে পড়ে আমিরুজ্জামান লেবু সহ ২/৩জন। এ কথা বুঝতে পেরে ঝিনাইগাতীতে কোন সাংবাদিক নেই বলে বণিক সমিতির সভাপতি আবু হেলাল খান, সদর ইউপি চেয়ারম্যান জয়নাল আবেদীন খান এর সামনে উচ্চ কন্ঠে প্রকাশ করলে এ নিয়েই শুরু হয় হাতাহাতির ঘটনা। ঝিনাইগাতী থানা, চেয়ারম্যান, সুশীল সংগঠন, সমিতির সংগঠন ও গণ্যমান্য ব্যক্তিদ্বয়ের নিকট কোন পাত্তা না পাওয়ায় গত ১১/০৬/২০১৩ ইং শেরপুর চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে আমিরুজ্জামান লেবু বাদী হয়ে বণিক সমিতির সভাপতি আবু হেলাল খান, সদর ইউপি চেয়ারম্যান জয়নাল আবেদীন খান, ব্যবসায়ী ঐক্য পরিষদের সহ সাধারন সম্পাদক, ঔষধ বিক্রেতা সমিতির সাংগঠনিক সম্পাদক, প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক, পিআইবি প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত সাংবাদিক গোলাম রব্বানী টিটু, ব্যবসায়ী ঐক্য পরিষদের কার্যকরী কমিটির সদস্য, পিআইবি প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত সাংবাদিক মুহাম্মদ আবু হেলাল, যুবলীগ নেতা ও প্রথম বাংলার সাংবাদিক এস এম বাদশাকে বিবাদী করে একটি মিথ্যা মামলা দায়ের করেন। বিজ্ঞ আদালত ঝিনাইগাতী ওসিকে তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ প্রদান করেন। ঘটনার নিন্দা জানিয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম বাদশা, আওয়ামী নেতা জমশেদ আলী, গোলাম মোস্তফা, ওহাব মন্ডল, ব্যবসায়ী ঐক্য পরিষদের সভাপতি সাইফুল ইসলাম সেজু, সাধারণ সম্পাদক জাফর ইকবালসহ গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ নিন্দা জ্ঞাপন করেন। ঝিনাইগাতীতে কর্মরত সাংবাদিক এম মোকাদ্দেস, আরিফুর রহমান, মেহেদী হাসান মাসুম, আরএম সেলিম শাহী, ইউসুফ আলী সরকার, এস এম মাসুদ আলম, জাহিদুল ইসলাম মিলন, গোলাপ হোসেন, শাহ আলম, রেফাজ উদ্দিন এবং পার্শ্ববর্তী জেলা ও উপজেলার সাংবাদিকগণ মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের মাধ্যমে মামলাবাজ ও রাজাকার পুত্র আমিরুজ্জামান লেবুকে প্রেসক্লাবের আসবাবপত্র, জায়গা সাংবাদিকদের নিকট বুঝিয়ে দেওয়ার জন্য আহবান করেন এবং ঘটনার তীব্র নিন্দা জ্ঞাপন করেন।
মুহাম্মদ আবু হেলাল/ঝিনাইগাতী, শেরপুর/জি নিউজ