মোঃ সাইফুল ইসলাম (ঝালকাঠি) প্রতিনিধিঃঝালকাঠির রাজাপুরের ৭নং দক্ষিন তারাবুনিয়া ২ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোট কেন্দ্রে (কদুতলা) নির্বাচনী সহিংসতায় মোঃ রিপন হোসেন (২৮) নামে এক যুবলীগ কর্মী নিহত হয়েছেন। রিপন দক্ষিন তারাবুনিয়া গ্রামের সোহরাপ হাওলাদারের ছেলে। সাতুরিয়া ইউনিয়ন আ’লীগের সভাপতি মোঃ আব্দুস সোবাহান অভিযোগ করেন, সকাল ১১ টায় বিএনপি সমর্থিত প্রার্থীর কর্মীরা ভোট কেন্দ্রে হামলা চালিয়ে রিপনকে কুপিয়ে জখম করে। এরপর স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে পাশের উপজেলা ভান্ডারিয়ায় স্বাস্থ্য কেন্দ্রে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে ভর্তি করা হলে সেখানে বিকেল সাড়ে ৪ টায় মারা যান। রাজাপুর থানার এসআই আতিকুর রহমান বলেন, এ ঘটনায় স্থানীয় আব্দুল হালিমের ছেলে ছাত্রদল কর্মী শাহিন (১৭), ছবিলুদ্দিন কাজির ছেলে জাকির (২৫), মৃত আমজাদ আলীর ছেলে বিএনপি কর্মী কাওসার (৫৫) কে আটক করা হয়েছে। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে। ওই কেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসার কবির হোসেন বলেন, বেলা ১১ টার দিকে কিছু লোকজন অস্ত্রসহ কেন্দ্রে হামলা চালায়। এসে আধা ঘণ্টার মত ভোট গ্রহণ স্থগিত করা হয়। নির্বাচন কেন্দ্রের অদূরে রিপন নামে এক যুবককে কুপিয়ে জখম করে। পরে তার মৃত্যু হয়। প্রত্যক্ষদর্শী রাসেল, মিজান, শাহিন ও সিদ্দিক বলেন, আমরা সকালে রিপনসহ সবাই একত্রে ভোট কেন্দ্রে যাই। তখন জাল ভোট দেয়া হচ্ছে এমন গুজব ছড়িয়ে শান্তিপূর্ণ ভোট কেন্দ্রে অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে হামলা চালায় বিএনপির কর্মী বাহিনী। এসময় আমরা পালিয়ে যেতে সক্ষম হলেও রিপন গুরুতর জখমসহ কয়েকজন আহত হয়। পরে রিপনের মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় ওই এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। রিপনের দাদা তোফাজ্জেল ও দাদি হাজেরা বেগম জানান, রিপনের মা–বাবা ঢাকায় থাকেন। রিপনও তাদের সাথে ঢাকায় থাকতেন। ২ বছর আগে বাড়িতে এসে কৃষি কাজ করতেন এবং আমাদের দেখাশুনা করতেন। সকালে ভোট দিতে কেন্দ্রে গেলে ওরা আমার নাতীকে কুপিয়ে হত্যা করে। আমরা এ হত্যাকারীদের বিচার চাই।