জি নিউজ অনলাইন ঃ- র্যাবের বিরুদ্ধে সব অভিযোগের স্বচ্ছ তদন্ত চায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র৷ ঢাকায় র্যাব সদর দপ্তরে এক অনুষ্ঠানে মার্কিন রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘‘তদন্তের ফল প্রকাশ করে ব্যবস্থা নিলে সংস্থাটির ওপর মানুষ আস্থাশীল হতে পারবে৷” র্যাব ও মার্কিন দূতাবাসের যৌথ উদ্যোগে ‘ক্রিমিনাল ইনভেস্টিগেশন অ্যান্ড ইন্সট্রাকটর ডেভেলপমেন্ট’ নামের একটি প্রশিক্ষণ কর্মশালা শেষে র্যাব সদর দপ্তরে সনদ বিতরণ অনুষ্ঠানে বৃহস্পতিবার প্রধান অতিথি ছিলেন মার্কিন রাষ্ট্রদূত ড্যান মোজেনা৷ প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি বলেন, র্যাবের বিরুদ্ধে যেসব নির্যাতন-নিপীড়নের অভিযোগ উঠেছে, সেগুলোর যথাযথ এবং বিশ্বাসযোগ্য তদন্তের ফলাফল স্বচ্ছতার সঙ্গে প্রকাশ করতে হবে, যাতে করে এই সংস্থাটির ওপর জনগণের ভরসা গড়ে ওঠে এবং তাঁরা এই সংস্থার ওপর আস্থা রাখতে পারেন৷”সাম্প্রতিক নানা ঘটনা বাংলাদেশের কথিত ‘এলিট ফোর্স’ র্যাবের ওপর কালো ছায়া ফেলেছে মন্তব্য করে মোজেনা বলেন, ‘‘সবাই র্যাব সদস্যদের ক্ষমতার অপব্যবহার ও অসদাচরণের অভিযোগ সম্পর্কে জানেন৷ সাম্প্রতিক সময়ে ক্ষমতার অপব্যবহারের ঘটনার যে সব অভিযোগ এসেছে, সেগুলোর কারণে জবাবদিহিতার বিষয়টি এখন অনেক বেশি গুরুত্ব বহন করে৷’ মার্কিন রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘‘র্যাবের নাম ব্যবহার করে যারা নিপীড়ন-নির্যাতন চালাচ্ছে তাদেরকে জবাবদিহিতার আওতায় আনার জন্য র্যাবের ঐ সব সদস্যদের চাইতে বেশি আগ্রহ আর কারো হতে পারে না, যাঁরা সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করেন৷ কারণ মুষ্টিমেয় কয়েকজনের জন্য পুরো সংস্থার এবং যাঁরা সম্মানের সাথে কাজ করেন তাঁদের দুর্নাম হয়৷তিনি বলেন, ‘‘সব মানবাধিকার লঙ্ঘন ও নিপীড়নের অভিযোগের সময়োচিত, বিশ্বাসযোগ্য ও স্বচ্ছ অনুসন্ধান করার এবং অনুসন্ধানে পাওয়া তথ্য স্বচ্ছভাবে জনগণের সামনে তুলে ধরতে সরকারের প্রতি আমার আহ্বান অব্যাহত রাখছি৷অনুষ্ঠানে র্যাবের মহাপরিচালক মো. মোখলেছুর রহমান, অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপারেশন) কর্নেল জিয়াউল আহসান, অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) ড. আফতাব উদ্দিন আহমেদ উপস্থিত ছিলেন৷ র্যাব সদস্যদের আট সপ্তাহের এই প্রশিক্ষণে অভিযোগ এবং তার তদন্ত নিয়ে প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে৷ এদিকে মানবাধিকার সংগঠন আইন ও সালিশ কেন্দ্রের পরিচালক (তদন্ত) নূর খান ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘‘র্যাবের অভ্যন্তরীণ তদন্তের ওপর সাধারণ মানুষের আস্থা নেই৷ তাই একটি স্বাধীন তদন্ত কমিশন গঠন করে তার আওতায় র্যাব প্রতিষ্ঠার পর এ পর্যন্ত তাদের বিরুদ্ধে যত অভিযোগ এসেছে, তা তদন্ত করে দায়ীদের বিচারের আওতায় আনতে হবে৷ ক্রস ফায়ারের প্রতিটি ঘটনার জন্য আলাদা আলাদা তদন্ত হওয়া প্রয়োজন৷ এছাড়া র্যাবের প্রতিটি কার্যালয় নিরপেক্ষ তদন্ত দলের মাধ্যমে পরিদর্শন করানোরও প্রয়োজন আছে৷তাঁর কথায়, ‘‘এ সব করার পর র্যাবকে জবাবহিদিতার আওতায় আনতে হবে৷ র্যাবের ‘চেইন অফ কমান্ড’-এও সমস্যা আছে৷ এ প্রতিবেদনটি ডি ডাব্লিউ এর,এই বাহিনীটি এরই মধ্যে বিতর্কিত হয়েছে৷” তাই এ অবস্থায় একে দিয়ে কাজ করানো কঠিন বলে মনে করেন নূর খান৷