অনলাইন ডেস্ক ,জি নিউজঃ- লিবিয়ার রাজধানী ত্রিপোলিতে সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর বিরুদ্ধে জনতার বিক্ষোভে বন্দুকধারীদের নির্বিচার গুলিতে অন্তত ৪০ জন নিহত এবং প্রায় ৪০০ আহত হয়েছে। ত্রিপোলি ত্যাগের দাবিতে ‘মিসরাতা সশস্ত্র গোষ্ঠী’র সদর দফতরের কাছে এ বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। বিক্ষোভ শান্তিপূর্ণ ছিল বলে ত্রিপোলি থেকে পাওয়া খবরে উল্লেখ করা হয়েছে। শুক্রবার জুম্মার নামাজে ইমামদের দেয়া খোতবায় সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর বিরুদ্ধে এ বিক্ষোভের আহ্বান জানানো হয়। লিবিয়ায় ন্যাটো সমর্থিত গণ আন্দোলনের মধ্য দিয়ে সাবেক স্বৈরশাসক মুয়াম্মার গাদ্দাফির পতনের দু’বছর পরও সশস্ত্র গোষ্ঠী ও সাবেক যোদ্ধারা তাদের অস্ত্র জমা দিতে অস্বীকার করছে। এ সব গোষ্ঠী দেশটির কেন্দ্রীয় সরকারের জন্য মারাত্মক চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিক্ষোভে অংশগ্রহণকারী শত শত ব্যক্তি শান্তির প্রতীক হিসেবে সাদা পতাকা বহন করেন। এ ছাড়া, তারা লিবিয়ার জাতীয় পতাকাও বহন করেন। বিক্ষোভ মিছিল শেষে তারা রাজধানীর মেলিয়ানা চত্বরে সমবেত হন। সেখান থেকে মিছিল করে ঘারগাওর এলাকায় অবস্থিত মিসরাতা সশস্ত্র গোষ্ঠীর সদর দফতরের দিকে এগিয়ে গেলে বন্দুকধারীরা তাদের লক্ষ্য করে নির্বিচারে গুলি চালায়। এর কয়েক ঘণ্টা পর একদল সশস্ত্র ব্যক্তি মিসরাতা গোষ্ঠীর সদর দফতরে ঢুকে পড়ে এবং আগুন ধরিয়ে দেয়। মিসরাতা গোষ্ঠীর সদস্যরা যে আবাসিক ভবনে ছিল তাতে আগুন দেয়া হয়। এ গোষ্ঠীর সদস্যরা বর্তমানে একটি আবাসিক ভবনে আশ্রয় নিয়েছে বলে জানা গেছে। তবে তাদেরকে শেষ পর্যন্ত ওই এলাকা ছাড়তে হবে বলে ইব্রাহিম নামে এক ব্যক্তি দাবি করেছেন। এদিকে, এ ঘটনার প্রেক্ষাপটে টেলিভিশনে দেয়া ভাষণে লিবিয়ার প্রধানমন্ত্রী আলী জেইদান বলেছেন, সব সশস্ত্র গোষ্ঠীকেই ত্রিপোলি ছাড়তে হবে। অবশ্য, এ সব সশস্ত্র গোষ্ঠীকে ত্রিপোলি থেকে উতখাতের জন্য লিবিয়ার সরকার কি পরিকল্পনা নিয়েছে তা খুব পরিষ্কার নয়। সূত্র – রেডিও তেহরান তাঃ- শনিবার ১৬ নভেম্বর ২০১৩