অপূর্ব লাল সরকার, আগৈলঝাড়া (বরিশাল) থেকে :বরিশাল জেলার আগৈলঝাড়ায় এগিয়ে চলছে শীতকালীন শাক-সবজির আবাদ। চলতি মৌসুমে জেলায় মোট আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৭ হাজার ৪শ’ ৫০ হেক্টর জমি। বিপরীতে আজ পর্যন্ত আবাদ হয়েছে ২ হাজার ৬শ’ হেক্টর। এরমধ্যে আগৈলঝাড়ায় নির্ধারণ করা হয়েছে ৪শ’ হেক্টর জমি। তবে কয়েকদিনের মধ্যে আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে কৃষি অফিসসূত্রে জানা গেছে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরসূত্রে জানা গেছে, ইতোমধ্যে শীতকালীন সবজির লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে আবাদ শুরু হয়ে গেছে। বরিশালে সবসময়ই শীতকালীন সবজির আবাদ লক্ষ্যমাত্রা অতিক্রম করে। এবারেও অধিদপ্তরের নিবিড় পরিচর্যায় ও কৃষকদের নিরলস পরিশ্রমে আবাদ কার্যক্রম এগিয়ে চলছে। এসব সবজির মধ্যে রয়েছে লালশাক, করল্লা, পালং শাক, মূলা, বাঁধাকপি, ফুলকপি, ওলকপি, টমেটো, সিম, বরবটি, লাউ, পটোল, কুমড়া ইত্যাদি।
কৃষকরা জানিয়েছেন, প্রতিবছরই শীতের সবজির আলাদা কদর ও ভালো দাম পাওয়া যায়। তাই তরা বর্তমানে সবজি চাষে ব্যস্ত হয়ে পরেছে। উপজেলার রাজিহার ইউনিয়নের কৃষক লোকমান মিয়া, রব মোল্লা ও সোমেদ সিকদার জানান, তারা ৪ একর জমিতে লালশাক ও মূলা আবাদ করছেন। বিএডিসি’র মাধ্যমে উন্নত বীজ সংগ্রহ করে আবাদ করায় তারা অধিক লাভবান হবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন।
এব্যাপারে জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উদ্ভিদ সংরক্ষণ বিশেষজ্ঞ রমেন্দ্রনাথ বাড়ৈ জানান, বর্তমান আবহাওয়া সম্পূর্ণরূপে সবজি চাষের অনুকূলে রয়েছে। এছাড়া ফসলে রোগ বালাই আক্রমণ রোধে কৃষকদের চাষাবাদ ব্যবস্থাপনা সম্পর্কে পরামর্শ দেয়া হচ্ছে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. তাজুল ইসলাম বলেন, আমি এবিষয়ে বিস্তারিত বলতে পারছিনা। তিনি উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা সুভাষ চন্দ্র মন্ডলের সাথে কথা বলতে বলেন। সুভাষ চন্দ্র মন্ডল জানান, এখন পর্যন্ত ১২০ হেক্টর জমিতে চাষাবাদ শুরু হয়েছে। অল্পদিনের মধ্যে লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে। তবে কৃষকরা এজন্য কি কি সুবিধা পাবে তা বলেননি।