শেরপুর প্রতিনিধি ঃএমিনি/এলটের সম্পত্তি নয় পরিস্কার রেকডিও সম্পত্তি সাব কোয়ালা মূলে জমি ক্রয় করে দস্তুর মতো বিপাকে পড়েছে এক মুক্তিযোদ্ধা পরিবার এমনকি বার বার বিপাকে ফেলারও চেষ্টা করছে একটি মহল। জমি ক্রেতার অভিযোগের ভিত্তিতে জানা যায়, শেরপুরের সীমান্তবর্তী ঝিনাইগাতী উপজেলার ধানশাইল ইউনিয়নের কোচনীপাড়া গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা মজিবর রহমান ও সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা (এএসপি) জহুরুল হক ২ ভাই ভাই শ্রীর্বদী উপজেলার হাসধরা গ্রামের রানীশিমুল বদরুজ্জামানের স্ত্রী হাসনা বেগমের পৈত্রিক ও ওয়ারিশ সূত্রে প্রাপ্ত জমি থেকে সাড়ে সতের শতাংশ জমি ২০১২ ইং সনে সাবরেজিষ্ট্রি মূলে ক্রয় করেন। এ জমি ক্রয় করার পর থেকেই হাসিনা বেগমের ভায়েরা যথাক্রমে- মোহাম্মদ আলী, শাহজাহান, আল-আমীন ও আলমগীর গংরা ঐ জমি দখল নিতে বাধা প্রদান করে আসছে। এ ঘটনার জের ধরে ঝিনাইগাতী থানায় গত ৯ ফেব্রæয়ারী/১৩ ইং তারিখে উপরোক্ত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে একটি সাধারণ ডায়েরী করেন বীর মুক্তিযোদ্ধা মজিবর রহমান, যাহার নম্বর – ২৫৭। এ ব্যাপারে কোর্টে মামলা হলে আদালতের নির্দেশ মোতাবেক গত ১৮ জুলাই/১৩ ইং তারিখে ঝিনাইগাতী ভূমি অফিসের কানুনগো ও সার্ভেয়ারসহ তদন্ত করতে গেলে হাসিনা বেগমের ঐসব আত্মীয়-স্বজনরা সন্ত্রাসী কায়দায় বাধা প্রদান করার ফলে কানুনগো ও সার্ভেয়ারসহ অন্যান্য লোকজন আইন শৃংখলার অবনতির আশংকা থাকায় তদন্ত কার্যক্রম বাতিল করে চলে আসে। এ ব্যাপারে সরেজমিনে পরিদর্শনে গেলে কোচনীপাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষক আলহাজ সামছুল হক, ভটপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষক মোফাজ্জল হোসেনসহ এলাকার গণ্যমাণ্য ব্যক্তিগণ এ প্রতিনিধিকে জানান, বীর মুক্তিযোদ্ধা মজিবর রহমান ও পলিশের সাবেক কর্মকর্তা জহুরুল হক এরা দুই ভায়ের নিকট ঐজমি রেওয়াজ বদল হিসেবে দীর্ঘ দিন দখলে ছিল। পরে ২০১২ সালে খতিয়ান নং- ৬, নং দাগ ৪৬৪ থেকে ফারাজ করে রেজিষ্টিমূলে হাসিনার নিকট থেকে সাড়ে ১৭ সতাংশ জমি মজিবর ও জহুরুল হক লিখে নিয়ে জমির প্রকৃত মালিক হন। কিন্তু উক্ত জমির মালিকানা নিয়ে উভয় পরিবারের মধ্যে দ্বন্ধ নিরসন না হওয়ার কারণে যে কোন সময়ে রক্তক্ষয়ী সংঘর্শের আশংকা করছেন এলাকাবাসী। এ ব্যাপারে জমি বিক্রেতা হাসিনা বেগম জানান, আমি ২ লাখ টাকা নিয়ে সাব-কওয়ালা মূলে বিক্রি করেছি । অন্যদিকে বাধাদানকারী হাসিনার ভায়েদের সাথে জমি সংক্রান্ত বিষয়ে কথা বলতে গেলে তারা এব্যাপারে কোন মন্তব্য করতে রাজি হননী। কাজেই উক্ত জমির সরেজমিন তদন্ত পূর্বক ক্রয়কৃত প্রকৃত মালিকের নিকট হস্তান্তরের জন্য প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন জমির ক্রেতাগণ।
জাহিদুল ইসলাম মিলন, ঝিনাইগাতী