জি নিউজঃ এক মাস কোনো ধরনের সভা-সমাবেশের অনুমতি দেয়া হবে না, সরকারের দুই মন্ত্রীর এমন বক্তব্য গণমাধ্যমে প্রকাশের পর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে বলা হয়েছে, এ ব্যাপারে সরকারের কোনো নিষেধাজ্ঞা নেই।
রোববার রাতে স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর দপ্তরের তথ্য ও জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. আরিফুর রহমান স্বাক্ষরিত এক তথ্য বিবরণীতে এ কথা জানানো হয়।
বিবরণীতে বলা হয়েছে, সাধারণ সমাবেশ করার ব্যাপারে কোনো আপত্তি নেই। এটা কোনো নিষেধাজ্ঞা নয়, বরং জনগণের জানমাল রক্ষার্থে পূর্বসতর্কীকরণ ব্যবস্থা। এ ব্যাপারে বিভ্রান্তির কোনো অবকাশ নেই।’
এতে আরও বলা হয়, আজ মিরসরাই উপজেলার জোরারগঞ্জ থানা উদ্বোধনের সময় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দেওয়া বক্তব্যের স্পষ্টীকরণের লক্ষ্যে জানানো যাচ্ছে, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তাঁর বক্তব্যে বলেছেন, ঘূর্ণিঝড় পরবর্তী পরিস্থিতিতে যদি কোন রাজনৈতিক দল এমন কোন কর্মসূচি দেয় যাতে জনগণের জানমালের ক্ষয়ক্ষতি, নিরাপত্তাহীনতা কিংবা নাশকতার আশঙ্কা থাকে বা সেরূপ লক্ষণ পরিলক্ষিত হয়, তবে দেশের আইনশৃঙ্খলা সমুন্নত রাখার স্বার্থে সেসব দলের সভা-সমাবেশের কর্মসূচি পালনের অনুমতি দেবে না সরকার।
রোববার সকালে চট্টগ্রামের মীরসরাই উপজেলায় নতুন জোরারগঞ্জ থানা উদ্বোধনের পর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহীউদ্দিন খান আলমগীর সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, ‘আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখার জন্য এক মাস সভা-সমাবেশ বন্ধ থাকবে। সরকার দেশের মানুষের জানমাল রক্ষায় বদ্ধপরিকর।’
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন,’শান্তিপূর্ণ সভা-সমাবেশের অনুমতি নিয়ে বিরোধী দল ভাঙচুর, জ্বালাও পোড়াও করে দেশে নৈরাজ্য সৃষ্টি করে। এতে জানমালের ব্যাপক ক্ষতি হয়, শান্তি শৃঙ্খলা বিঘ্নিত হয়। তাই জানমালের নিরাপত্তা বিধানে এবং নৈরাজ্য ঠেকাতে সরকার আগামী এক মাস কোনো সভা সমাবেশের অনুমতি প্রদান করবে না।’
এরপর রোববার দুপুরে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনার ধানমণ্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে একই কথা বলেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম।
সৈয়দ আশরাফ বলেন, ‘এটি শুধু বিরোধীদলের জন্য নয়, সরকারি দলের জন্যও প্রযোজ্য।’