জি নিউজ বিডি ডট নেটডেক্সঃ- উপজেলা নির্বাচন পরেই সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন শুরু করা হবে বলে ঘোষণা করেছেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া । তিনি বলেন আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর গত তিনমাসে পুলিশ ৩০৪ জনকে গুলি করে হত্যা করেছে। গুম করা হয়েছে অসংখ্য মানুষকে। গতকাল শনিবার বিকেলে রাজবাড়ীর শহীদ আব্দুল আজিজ রেলওয়ে ময়দানে ১৯ দলীয় ঐক্যজোট আয়োজিত জনসভায় এই ঘোষণা দেন। এছারা তিনি বলেন, এ সরকার অবৈধ সরকার। দেশকে স্বাধীন সার্বভৌম রাখতে হলে আওয়ামী লীগ সরকারকে সরাতে হবে। তিনি আরও অভিযোগ করেন, এখন দেশের বিভিন্ন জায়গায় কেবল জ্ঞাত-অজ্ঞাত লাশ পাওয়া যায়, দেশে মানবাধিকার বলতে কিছু নেই। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকলে মানুষকে বনে-বাঁদাড়ে পালিয়ে থাকতে হয়। তিনি বলেন, বিএনপি ক্ষমতায় থাকলে দেশের উন্নয়ন হয়। আওয়ামী লীগ আমলে উন্নয়ন হয় না শুধু লুটপাট হয়। এ সরকারের আমলে শুধু দুর্নীতি ও স্বজনপ্রীতি হয়। খালেদা জিয়া অভিযোগ বলেন, আওয়ামী লীগ রক্তপিপাসু দল। এরা কেবল রক্ত নিতে জানে, মানুষের ন্যূনতম অধিকার রক্ষা করতে পারে না। এরা দেশ রক্ষা করতে পারে না, গণতন্ত্র অব্যাহত রাখতে দেয় না।দেশ ও দেশের মানুষের অধিকার রক্ষায় গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার জন্য সবাইকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান খালেদা জিয়া।এছাড়া দেশজুড়ে চলমান উপজেলা পরিষদ নির্বাচন শেষেই সরকার পতনের আন্দোলন শুরু হবে বলে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া।এ সময় সরকারের বাধা উপেক্ষা করে জনসভায় আসার জন্য রাজবাড়ীবাসীর প্রতি ধন্যবাদ জানান। তিনি বলেন, বিএনপি ক্ষমতায় এলে পাটুরিয়ায় পদ্মা সেতু হবে। রাজবাড়ীতে বিশ্ববিদ্যালয় হবে। এর আগে দুপুর আড়াইটার দিকে তিনি রাজবাড়ী পৌঁছান। এরপর রাজবাড়ী সার্কিট হাউজে মধ্যাহ্নভোজের পর সেখানেই বিশ্রাম করেন। ৫ জানুয়ারির নির্বাচনের পর ঢাকার বাইরে এটিই বিএনপি চেয়ারপারসনের প্রথম জনসভা। ওই জনসভায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর অভিযোগ করেন, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলেই দেশে জঙ্গিবাদের উত্থান ঘটে। তিনি বলেন, অবৈধ সরকার জগদ্দল পাথরের মতো দেশ ও জনগণের ওপর চেপে বসেছে। তাদের ক্ষমতায় থাকার কোনো নৈতিক অধিকার নেই। জনগণের অংশগ্রহণ ছাড়া প্রহসনের নির্বাচনে কেউই অংশ নেয়নি। তাই, বর্তমান সংসদ ও মন্ত্রিপরিষদ সবই অবৈধ। সংসদের চলমান অধিবেশন সম্পর্কে খালেদা জিয়া বলেন, জনগণের অর্থে সংসদ চলে অথচ সেই সংসদে এখন জনগণের উন্নয়ন নিয়ে আলোচনা হয়না। সেখানে শুধু গালাগালি করা হয়। ওই জনসভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা বিএনপি’র সভাপতি আলী নেওয়াজ মাহমুদ খৈয়ম, এছাড়া মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন মির্জা আব্বাস, সাদেক হোসেন খোকা, কর্নেল (অব.) অলি আহমেদ, আন্দালির রহমান পার্থ, কাজী জাফর আহমেদসহ ১৯ দলের নেতৃবৃন্দ।
সরকার পতনের আন্দোলন ঘোষণা উপজেলা নির্বাচনপর-খালেদা জিয়া
Share This