জি নিউজ বিডি ডট নেট ঃ- বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, “আওয়ামী লীগের অবৈধ সরকার প্রতিহিংসার নেশায় মেতে উঠেছে। ৫ জানুয়ারি জনগণ স্বতঃস্ফূর্তভাবে পাতানো নির্বাচনকে প্রত্যাখ্যান করায় সরকার উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হয়ে জনগণের ওপর হামলা চালাচ্ছে। গতকাল শনিবার বিকেলে রাজধানীর নয়া পল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে রিজভী অভিযোগ করে বলেন, “সরকার আজ দেশব্যাপী গুম ও হত্যার পাশাপাশি মানুষের ঘর-বাড়ি জ্বালিয়ে দিচ্ছে। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী দিয়ে সরকার অসৎ উদ্দেশে এই গুম হত্যা চালাচ্ছে। রিজভী অভিযোগ করেন, “সরকার বিএনপিকে ধ্বংসের নামে সারাদেশে নীরিহ মানুষকে হত্যা করছে। কিন্তু আর নয়, জনগণ প্রতিশোধ নেয়ার জন্য প্রস্তুত হচ্ছে, এই প্রতিশোধ জনগণ একদিন নেবেই। পাতানো নির্বাচন বাতিল ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের দাবিতে বিএনপির ২৯ জানুয়ারির কালো পতাকা মিছিলের অনুমতি না দেয়াকে সরকারের অগণতান্ত্রিক আচরণ মন্তব্য করে এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান তিনি। এদিকে, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা শামসুজ্জামান দুদু বলেছেন, “৫ জানুয়ারির নির্বাচনে আওয়ামী লীগের এমন শোচনীয় পরাজয় হয়েছে যা অতীতে কখনো হয়নি। এখন যদি মওলানা ভাসানী অথবা শেখ মুজিব বেঁচে থাকতেন তাহলে শেখ হাসিনাকে চাবুক দিয়ে শাস্তি দিতেন দেশের মানুষকে এভাবে কষ্ট দেয়ার জন্য। এখন প্রতিদিন গড়ে ১০-১২ জনের লাশ পাওয়া যাচ্ছে, বিরোধী নেতা কর্মীদের গুম করা হচ্ছে। গতকাল দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবে ঢাকাস্থ বেতাগী উপজেলা জাতীয়তাবাদী ফোরাম আয়োজিত অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেনের মুক্তির দাবিতে এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। বর্তমানে দেশে গণতন্ত্রের নামে ভণ্ডামি চলছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, যুদ্ধে যেভাবে মাঝখানে বিরতি হয় সেভাবেই আমরা আন্দোলনে বিরতিতে আছি। বিরতি শেষে তুমুল বেগে আন্দোলন শুরু হবে। তখন আ.লীগ পালানোর পথ খুঁজে পাবে না। বর্তমান মন্ত্রী পরিষদকে উদ্দেশ করে তিনি বলেন, বর্তমানে যে ৪৯ জন মন্ত্রী ও এমপি রয়েছেন গুলিস্তানের মোড়ে তাদের বিচার হবে। সেদিনের জনরোষ থেকে তারা কেউই রেহাই পাবে না। সংগঠনের আহবায়ক এবিএম কাইয়ুমের সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য রাখেন এবিএম মোশারফ হোসেন, মজিবুল হক, ইসমাইল হোসেন বেঙ্গলসহ বরগুণা জেলা বিএনপির নেতৃবৃন্দ। সূত্র:- রেডিও তেহরান তাঃ-০২ ফেব্রুয়ারি২০১৪।