জি নিউজ, ডেস্ক রিপোর্টঃ বাংলাদেশে চলমান রাজনৈতিক সহিংসতা অবিলম্বে বন্ধ করার আহবান জানিয়েছেন জাতিসংঘের একদল মানবাধিকার বিশেষজ্ঞ। পাশাপাশি সংবাদমাধ্যম ও হিন্দু সমপ্রদায়ের ওপর হামলার ঘটনায়ও উদ্বেগ জানিয়েছেন তারা।
জাতিসংঘের নিউজপোর্টাল ইউএন নিউজ সেন্টারের ওয়েবসাইটে তাদের এ আহবান সংক্রান্ত সংবাদ প্রকাশিত হয়।
যুদ্ধাপরাধীদের বিচারকে কেন্দ্র করে গত ফেব্রুয়ারি থেকে শুরম্ন হওয়া বিক্ষোভের পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশে চলমান সব ধরনের সহিংসতা অবিলম্বে বন্ধ করার আহবান জানিয়েছেন মানবাধিকার বিশেষজ্ঞরা। একই সঙ্গে সব পক্ষকেই শান্তিপূর্ণভাবে নিজেদের মতামত প্রকাশের আহবান জানান তারা।
বিবৃতিতে বলা হয় নিরাপত্তা বাহিনী ও আন্দোলনকারীদের সংঘর্ষে গত কয়েক সপ্তাহে কমপক্ষে ৮৮ জন মানুষ মারা যাওয়ার পাশাপাশি আহত হয়েছেন আরও শত শত ব্যক্তি।
এ প্রসঙ্গে জাতিসংঘের বিচার বহির্ভূত হত্যাকা- বিষয়ক স্পেশাল রিপোর্টার ক্রিস্তোফ হেইনস বলেন, “আমি রাষ্ট্র অথবা রাষ্ট্রবহির্ভূত, যে কোনো পক্ষ কর্তৃক সংঘটিত সব ধরনের হত্যাকা-ের সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ এবং কার্যকর তদন্তের জন্য বাংলাদেশ সরকারের প্রতি আহবান জানাচ্ছি।
জাতিসংঘের ইউএন হিউম্যান রাইটস অফিস (ওএইচসিএইচআর) থেকে প্রকাশিত এ বিবৃতিতে হিন্দু সমপ্রদায়ের লোকজনের বাড়িতে, উপাসনালয়ে হামলা এবং সংবাদমাধ্যমের ওপর সামপ্রতিক হামলার ব্যাপারেও উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়।
সাংবাদিক এবং অন্যান্য মিডিয়ার কর্মীদের ওপর চলমান হামলার বিরম্নদ্ধেও সতর্কতা উচ্চারণ করেন মত প্রকাশের স্বাধীনতা বিষয়ক জাতিসংঘের স্পেশাল রিপোর্টার ফ্রাংক লা রুই।
তিনি বলেন, চলমান সহিংসতা দেশের সাংবাদিকদের নিরাপত্তার জন্য হুমকি সৃষ্টি করেছে। ইতিমধ্যেই একজন বস্নগার নিহত হওয়ার পাশাপাশি আহত হয়েছেন বিপুল সংখ্যক মিডিয়াকর্মী। কমপক্ষে ১২টি ওয়েবসাইটও বন্ধ করে দিয়েছে বাংলাদেশ সরকার। তিনি একই সঙ্গে দেশের সব রাজনৈতিক দলগুলোকে সহিংস কর্মকা-ে উস্কানি দেওয়া থেকে বিরত থাকার জন্য আহবান জানান।
হিন্দু সমপ্রদায়ের ওপর হামলার ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করে ধর্মীয় স্বাধীনতা বিষয়ক স্পেশাল রিপোর্টার হেইনার বিলেফেলট বলেন, সরকারকে অবশ্যই আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইন অনুযায়ী হিন্দু সমপ্রদায়ের অধিকার ও ধর্মীয় স্বাধীনতাকে নিশ্চিত করতে হবে।
সত্য ও ন্যায়বিচার বিষয়ক স্পেশাল রিপোর্টার পাবলো ডি গ্রিফ সরকারের প্রতি আইনের শাসন সমুন্নুত রাখার আহবান জানান।
তিনি বলেন, অতীতে সংঘটিত মানবাধিকার লঙ্ঘনের শিকারদের জন্য ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠ?ার পাশাপাশি সরকারকে একইসঙ্গে এ সংক্রান্ত ফৌজদারি বিচারের ক্ষেত্রে আইনের প্রতি আস্থা প্রতিষ্ঠা করতে হবে।
স্বাধীন বিশেষজ্ঞ বা স্পেশাল রিপোর্টাররা সাধারণত জেনেভাভিত্তিক জাতিসংঘ হিউম্যান রাইটস কাউন্সিল কর্তৃক নিয়োগপ্রাপ্ত হন।
জি নিউজ বিডি.নেট /ডেস্ক /৩১-০৩-২০১৩