সাতক্ষীরায় অপহরনের দুই মাসেও উদ্ধার হয়নি স্কুল ছাত্রী খাদিজা: আসামীরাপ্রকাশ্যে:পুলিশ বলছে পলাতক
সংবাদ সম্মেলনে অসহায় পিতার অভিযোগ
সাতক্ষীরা প্রতিনিধিঃ প্রায় দুই মাস অতিবাহিত হলেও সাতক্ষীরার আশাশুনির অপহৃত স্কুল ছাত্রীকে এখনও উদ্ধার করতে পারেনি পুলিশ। এদিকে অপহরন মামলার আসামীরা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়ালেও পুলিশ তাদেরকে গ্রেফতার করছে না। আসামীদের হুমকিতে মামলার বাদী ও তার পরিবারের সদস্যরা চরম নিরাপত্তাহিনতায় ভুগছে। গতকাল মঙ্গলবার সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে এই অভিযোগ করেন জেলার আশাশুনি উপজেলার বুধহাটা গ্রামের মৃত রমজান আলী ফকিরের ছেলে নজর“ল ইসলাম।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, গত ১৫ এপ্রিল সকাল সাড়ে ৬ টার সময় তার নাবালিকা কন্যা বুধহাটা বিবিএম কলেজিয়েট স্কুলের ছাত্রী স্কুলে কোচিং ক্লাশ করতে যাবার সময় বুধহাটা গ্রামের আব্দুল আজিজের ছেলে শাহীন (২৬) আছের আলী গাজীর ছেলে মনির“ল ইসলাম (৩৫), আব্দুল আজিজের ছেলে মাহফুজ (৩৮) ও একই গ্রামের মৃত জসিম উদ্দীনের ছেলে আছের আলী (৫৮) দুটি মোটরসাইকেলে জোর পূর্বক তাকে অপহরন করে নিয়ে যায়। ঘটনার ৪দিন পর্যš— ফেরত পাবার আশায় তাদের কাছে ধর্ণা দিয়ে মেয়ে না পেয়ে আশাশুনি থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা দায়ের করা হয়। ঐ মামলা তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয় এস আই আব্দুস সাত্তারকে। মামালার প্রায় ২ মাস অতিবাহিত হলেও পুলিশ স্কুল ছাত্রী খাদিজা খাতুনকে এখনও উদ্ধার করতে পারেনি। এমনকি মামলার আসামীরা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়ালেও অজ্ঞাত কারনে পুলিশ তাদেরকে গ্রেফতার করছে না।
নজর“ল ইসলাম আরো বলেন, আসামীরা তাকে মামলা তুলে নেয়ার জন্য প্রকাশ্যে হুমকিসহ নানা রকমের ভয়ভিতি দেখাচ্ছে। ফলে আসামীদের ভয়ে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে তিনি এক প্রকার গৃহবন্দি হয়ে পড়েছেন। গত ১৫ এপ্রিল অপহরনের পর আসামীরা জোর পূর্বক মেয়ে কে ভয়ভীতি দেখিয়ে নোটারী পাবলিকের মাধ্যমে একটি এফিডেভিড করে বিয়ের ভূঁয়া কাগজপত্র তৈরি করেছে। স্কুলের নিবন্ধন পত্রেরে স্বাক্ষরের সাথে ওই এফিডেভিডের স্বাক্ষরের কোন মিল নেই। আসামীরা ভূয়া জাল এফিডেভিডের কপি সরবরাহ করে পুলিশকে বিভ্রাš— করছে বলে তিনি জানান।
তিনি অপহরন মামলার আসামীদের দ্র“ত গ্রেফতার পূর্বক দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি এবং তার একমাত্র মেয়েকে উদ্ধারে জেলার নবাগত পুলিশ সুপারসহ সংশিষ্ট উর্দ্ধতন কতৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
কাজী নাসির উদ্দীন, সাতক্ষীরা