সাতক্ষীরা প্রতিনিধি ঃ সাতক্ষীরায় আওয়ামীলীগ নেতাকে গুলি করেছে সন্ত্রাসীরা। গুলিবিদ্ধ আওয়ামীলীগ নেতা নজরুল ইসলামকে(৪৮) মারাতœক আহত অবস্থায় সাত¶ীরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এসময় তার সঙ্গে থাকা খালাতো ভাই আমির হামজাও গুলিবিদ্ধ হন। নজরুল ইসলাম সদর উপজেলার আগরদাড়ি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক। রোববার রাত ৯ টার দিকে সদর উপজেলার কুচপুকুর এলাকায় এই গুলি বর্ষনের ঘটনা ঘটে। গোলাগুলির ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে গতকাল দুপুরে পুলিশ দুই জনকে গ্রেপ্তার করেছে।
সাত¶ীরা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আমান উল্লাহ জানান, রাতে কদমতলা বাজার থেকে নজরুল ইসলাম তার খালাতো ভাইকে নিয়ে মটর সাইকেলযোগে কুচপুকুরস্থ তার বাড়িতে ফিরছিলেন। এসময় কয়েকজন দূর্বৃত্ত তাকে লক্ষ করে পর পর কয়েক রাউন্ড গুলি ছোঁড়ে। এতে নজরুল ইসলাম বুকে ও পিঠে গুলিবিদ্ধ হন। তার সাথে থাকা খালাতো ভাইয়ের পিঠেও গুলি লাগে। তাদেরকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে দ্রুত সাত¶ীরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। গুলি বিদ্ধ নজরুল ইসলাম জানিয়েছে জামায়াত-শিবিরের কর্মীরা তাকে হত্যার উদ্দেশ্য গুলি করে পালিয়ে যায়। রোববার রাতেই জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, সদর থানার ওসিসহ পুলিশ ফোর্স ঘটনাস্থলে যান। গুলিবিদ্ধ নজরুলকে দেখতে জেলা আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতারাও সেখানে যান।
সাতক্ষীরা পুলিশ সুপার মো. আসাদুজ্জামান জানান, পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায়। রাতেই নজরুল ইসলামের শরীরে অস্ত্রপচার করা হয়েছে। তিনি এখন ঝুকি মুক্ত। এদিকে গতকাল দুপুরে আহত নজরুল ইসলামের ছেলে কুচপুকুর গ্রামের বাড়িতে ফেরার পথে ছেলে রনিকে একদল সন্ত্রাসীরা সশস্ত্র অবস্থায় হামলা চালায়। এসময় সে ছুরিকাঘাতে মারাত্মক আহত হন।
সাত¶ীরা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ আমান উল্যাহ জানান, দুই দিনের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে সদরের কুচপুকুর গ্রামের অজিহার রহমনা (৬০) ও কাশেমপুর গ্রামের মৃত কাশেম মোল্যার ছেলে সাইফুল্যাকে (২০) কে একটি ছোরাসহ গ্রেপ্তার করা হয়েছে। জখমির পরিবারের পক্ষ থেকে এখনও কোন এজাহার দেয়নি। তবে রাতে মামলা হবে বলে তিনি নিশ্চিত করেন।
উল্লেখ্য গত ৩ মার্চ জামায়াত শিবিরকর্মীরা আওয়ামীলীগ নেতা নজরুল ইসলামের বাড়িতে ব্যাপক সহিংসতা চালায়। হামলাকারীরা তার বাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে অগ্নি সংযোগ ও লুটপাট করে। ওই ঘটনায় তিনি জামায়াতের বেশ কয়েকজন নেতা কর্মীর নামে থানায় মামলা দায়ের করেন। এরই জেরধরে তাকে হত্যার উদ্দেশ্যে গুলি করা হয়েছে বলে মনে করছেন পুলিশ।
কাজী নাসিরউদ্দিন / সাতক্ষীরা