সাতক্ষীরা প্রতিনিধিঃ সাতক্ষীরায় পুলিশের মোটরসাইকেলে অগ্নিসংযোগ, সড়ক অবরোধ, ট্রাক ভাংচুর, ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার মধ্যদিয়ে জেলা জামায়াতের ডাকা আধাবেলা হরতাল পালিত হয়েছে। রোববার সকালে সাতক্ষীরা -কালিগঞ্জ সড়কের বাঁকালের মোড়ে হরতাল সমর্থক জামায়াত-শিবিরকর্মীরা পুলিশের একটি মোটরসাইকেলে আগুন ধরিয়ে দিয়ে সেখানে তারা হরতালের সমর্থনে পিকেটিং করে।
পাশাপাশি সাতক্ষীরা -যশোর মহাসড়কের ছয়ঘরিয়া মোড় এলাকায় দুটি ট্রাক ভাংচুর করেছে জামায়াত শিবির সমার্থক নেতাকর্মীরা। এর আগে ভোরে হরতাল সমর্থকরা শহরের প্রধান সড়কের প্রবেশ মুখ বন্ধ করে দেয়। এদিকে সকাল থেকে জেলার সবকটি সড়কে যান চলাচল বন্ধ থাকে। সাতক্ষীরা কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল থেকে দূরপালার কোনো যানবাহন ছেড়ে যায়নি। দোকান পাট খোলা ছিল। অফিস আদালতে লোকজনের উপস্থিতি ছিল ¯^াভাবিক। ভোমরা স্থলবন্দরের আমদানি-রপ্তানি ¯^াভাবিক থাকলেও পণ্যবাহী কোনো ট্রাক দুপুর পর্যš— বন্দর ছেড়ে যাইনি। এছাড়াও হরতালে নাশকতা এড়াতে ভোর থেকে শহরে বিপুল সংখ্যক পুলিশ-বিজিবি মোতায়েন করা হয়।
সাতক্ষীরা জেলা জামায়াতের আমির অধ্য¶ আব্দুল খালেক মÊল জানান, গ্রেফতারকৃত নেতাকর্মীদের অবিল¤ে^ মুক্তি না দিলে আরও কঠোর কর্মসূচি আসছে।
সাতক্ষীরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমান উলাহ জি নিউজ বিডি ডট নেটকে জানান, জামায়াত-শিবিরের কর্মীরা সাড়ে ৬টার দিকে বাঁকাল এলাকায় পুলিশের একটি মোটরসাইকেলে আগুন দিয়েছে। তবে এঘটনায় কাউকে আটক করা যায়নি। যে কোনো প্রকার নাশকতা এড়াতে পুলিশ প্রস্তুত রয়েছে।
প্রকাশ থাকে যে, গত বৃহস্পতিবার বিকেলে কলারোয়া গর“রহাট এলাকা থেকে জামায়াতের সিনিয়র নায়েবে আমির মইনুল হককে এবং বুধবার দুপুরে শ্যামনগর উপজেলার খানপুর এলাকা থেকে শ্যামনগর আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও উপজেলা জামায়াতের সিনিয়র নায়েবে আমির গাজী নজর“ল ইসলামকে গ্রেফতার করার প্রতিবাদে জেলা জামায়াত এই হরতালের ডাক দেয়।
কাজী নাসির উদ্দীন/ সাতক্ষীরা /জি নিউজ