কাজী নাসির উদ্দীন,সাতক্ষীরা ঃ সুন্দরবনের সাতক্ষীরা রেঞ্জে জলদস্যু সিদ্দিক বাহিনীর প্রধান সিদ্দিক গনপিটুনিতে নিহত হয়েছে। গনপিটুনির সময় তার চোখ উপড়ে নেয় জনতা। জনতা এসময় আরও দুই জলদস্যুকে আটক করে গনধোলাই শেষে পুলিশে দিয়েছে। আটককৃতরা হলো, আব্দুর রাজ্জাক ও ফেরদাউস। ধৃতরা জেলার শ্যামনগর উপজেলার বংশিপুর ও হরিনগর গ্রামের বাসিন্দা। মঙ্গলবার সকালে সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার সুন্দরবন উপকুলীয় হরিনগরে স্থানীয় জনতার হাতে এই গণপিটুনির ঘটনা ঘটে। ঘটনার সময় লোকালয়ে আসলে স্থানীয় লোকজন তাকে চিনতে পেরে গনপিটুনি দেয়। জনতার গনপিটুনিতে ঘটনাস্থলেই বাহিনীর প্রধান সিদ্দীক নিহত হয়। নিহত সিদ্দিকের বাড়ি বাগেরহাট জেলার মংলা থানায় বলে প্রাথমিক ভাবে জানা গেছে। তবে মংলা থানার ওসি আমিনুল ইসলাম জানান, নিহত সিদ্দিক ২০০১ সালে মংলার চরকানাই নামক একটি নদীর চরে এসে বসবাস শুর“ করে। তার কোন পরিবার নেই বা পরিবারের কোন সদস্যের হদিস মেলেনি। সেখানে সে বসবাস শুর“ করলেও থাকতো না। পুলিশের ধারণা সে প্রকৃতপক্ষে শরনখোলা এলাকার বাসিন্দা হতে পারে। একই সাথে সে একজন প্রকৃত বনদস্যু বলে পুলিশের দাবী।
এব্যাপারে সাতক্ষীরার পুলিশ সুপার মোল্যা জাহাঙ্গীর হোসেন গনপিটুনিতে বাহিনীর প্রধান সিদ্দিকের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। একই সঙ্গে দলের আরও দুই সদস্যকে জনতা ধরে পিটুনি শেষে পুলিশে দিয়েছে বলে জানিয়েছেন।