প্রাপ্ত তথ্যে জানাগেছে, বিগত ২০০৬ সালে শহরের মুন্সিপাড়ার বাসিন্দা মৃত মজিবর মোল্যার মেয়ে মরিয়ামের সাথে রাজার বাগান কোড়াপোতা এলাকার বাসিন্দা জাকির হোসেনের সাথে শরিয়ত মোতাবেক বিবাহ হয়। এসময় ৫০ হাজার টাকার নগত যৌতুক ও স্বর্ণের চেইনসহ অন্যান্য জিনিসপত্র দেয়া হয়। দাম্পত্ত জীবনে মরিয়ম এক সন্তানের জননী। বিগত ৬/৭ মাস পূর্বে বহেরায় যাওয়া আসাকে কেন্দ্র করে পরোকিয়ায় জড়িতে পড়ে স্বামী জাকির হোসেন। সে বহেরা এলাকার আব্দুল জলিল মাষ্টারের মেয়ে ফারহানা ২৬ এর সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে। এক পর্যায়ে অতিগোপনে ৪ মাসে ফারহানাবে বিবাহ করে জাকির। এরপর ওই স্ত্রীকে মেনে নিতে প্রথম স্ত্রী মরিয়ামের উপর নেমে আসে নির্যাতনের খড়গ। প্রতিনিয়তই তার উপর শারিরিক নির্যাতন করা হয়। অবশেষে শনিবার রাতে তার উপর চালানো হয় অমানুষিক নির্যাতন। এক পর্যায়ে মৃত ভেবে তার গালে দেয়া হয় বিষ। স্থানীয় লোকজন সকালে মরিয়ামের মা সাজেদা বেগমকে মৃত্যুর খবর দেয়। দ্র“ত ঘটনাস্থলে পৌছে মরিয়মকে উদ্ধার করে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। মরিয়ম এখন মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে। চিকিৎসকরা জানিয়েছে তার অবস্থা আশংকা জনক। নির্যাতিত পরিবারের অভিযোগ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গতকাল দুপুরে ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসীদের পাঠিয়ে মামলা না করতে হুমকী দেয়া হয়েছে। এব্যাপারে সাজেদা বেগম রাতে থানায় অভিযোগ দিবে বলে জানায়।
এসময় এ বিষয়ে স্বামী জাকির হোসেন টেলিফোনে জি নিউজ বিডি ডট নেটের প্রতিনিধিকে জানান, দ্বিতীয় বিয়ের কারণে তার উপর শারিরিক কোন নির্যাতন করা হয়নি। স্থানীয় শালিসের মাধ্যমে দৈনিক একশ টাকা করে তার খরজ দেয়া হয়। শনিবারের এসপ্তাহের টাকা দেয়ার পর এমন অভিনয় করে সে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে।