সাতক্ষীরা প্রতিনিধিঃ সাতক্ষীরা শহরের বহুলালোচিত মুন্সিপাড়ার উম্মে ছালমা কমলা’র সম্পত্তি জালজালিয়াতির মাধ্যমে রেজিস্ট্রি করার অভিযোগে আইন বিচার ও সংসদ মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে তদš— শুর“ হয়েছে। খুলনা জেলা রেজিস্ট্রার শাšি— কুমার ঘোষ গতকাল দিনভর সদর সাব রেজিস্ট্রি অফিসে উপস্থিত থেকে তদš—কাজ করেন। সাতক্ষীরা সদর আসনের এমপি এর ডিও লেটার এবং জেলা প্রশাসক ড. মুহা আনোয়ার হোসেন হাওলাদারের প্রেরিত পেপার কাটিং দিয়ে অভিযোগের ভিত্তিতে এতদš— অনুষ্ঠিত হয়। মজার ব্যাপার হল তদš—কারি কর্মকর্তা সহায় স¤^ল হারিয়ে পথে বসা কমলাকে তদš—বোর্ডে হাজির হতে নোটিশ প্রদান করেননি। কিন্তু তিনি নিজেই গতকাল বিকেলে তদš—কারি কর্মকর্তার নিকট হাজির হয়ে জবাব দাখিলের অনুমতি চাইলেও তিনি তা প্রত্যা¶ান করেন।
প্রাপ্ত তথ্যে জানাগেছে, চলতি বছরের শুর“তেই সাতক্ষীরা থেকে প্রকাশিত দৈনিক পত্রদূত ও ঢাকা থেকে প্রকাশিত দৈনিক আজকালের খবর পত্রিকায় “সাতক্ষীরা সদর সাব রেজিস্ট্রি ও এসি ল্যাÊ অফিসের কেরামতিতে কমলা এখন বনবাসে!” শিরোনামে সংবাদসহ আরও অন্যান্য রিপোর্টের কাটিং গত ৩০ জানুয়ারী -১৩ সাতক্ষীরা সদর-২ আসনের এমপি এম এ জব্বার, জেলা প্রশাসক ড. মুহা. আনোয়ার হোসেন হাওলাদার ও জেলা তথ্য অফিসার গত ১৪ জানুয়ারী-২০১৩ আইন বিচার ও সংসদ মন্ত্রাণালয়ে প্রেরণ করেন। আইন মন্ত্রণালয় কর্তৃক প্রাপ্ত পেপার কাটিং ডায়েরি নং ২৪ ও ৪১ তদš— করে ১০ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে খুলনা বিভাগীয় জেলা রেজিস্ট্রারকে নির্দেশ দেন। খুলনা জেলা রেজিস্ট্রার শাšি— কুমার ঘোষ নির্দেশ প্রাপ্তির সাথে সাথে ৭ মে এক নোটিশে ২১ মে সাতক্ষীরা সদর সাব রেজিস্ট্রার ও সাবেক ক্লার্ক শেখ শাহাদাৎ হোসেনকে সদর সাব রেজিস্ট্রি অফিসে উপস্থিত থাকতে নোটিশ প্রদান করেন। গতকাল যথারিতি তদš—কারি কর্মকর্তা শাšি— কুমার ঘোষ তদšে—র ল¶ে সাতক্ষীরা সদর সাব রেজিস্ট্রি অফিসে উপস্থিত হলেও তিনি নির্যাতিত সহায় স¤^ল হারা উম্মে ছালমা কমলাকে হাজির হতে নোটিশ দেননি। বিভিন্ন মাধ্যমে কমলা খবর পেয়ে বিকালে তদš—বোর্ডে হাজির হয়ে তার বক্তব্য লিখিত ভাবে দাখিল করতে চাইলেও তদš—কারি কর্মকর্তা তা নিতে রাজি হননি।
খোজ নিয়ে জানাগেছে, তদš—কারি কর্মকর্তা অফিসের সকল স্টাফ দলিল লেখক ও বাইরের অনেকের বক্তব্য লিখিত ভাবে গ্রহণ করলেও তিনি কমলার লিখিত জবাব গ্রহণ না করায় এতদš— নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে। এছাড়াও নোটিশ প্রাপ্ত শাহাদাৎ হোসেন তদš—কারি কর্মকর্তার সামনে বসে থেকে অন্যের দেয়া লিখিত জবাব প্রত্য¶ করেছেন এমন অভিযোগ অনেকের। অভিযোগের অন্যান্য বক্তব্যের সত্যতা তেমন মেলেনি বলেও সূত্রটি জানায়।
এদিকে সাতক্ষীরা সদর সাব রেজিস্ট্রি অফিসের প্রাক্তন অফিস সহকারি শেখ শাহাদাৎ হোসেন যুগ যুগ ধরে সাতক্ষীরা সদর সাব রেজিস্ট্রি অফিসে নিজের প্রভাব বি¯—ার করে চাকুরি করেছেন। তিনি কয়েক বছর যাবত জেলা রেজিস্ট্রারের অফিস সহকারি হিসেবে পদোন্নতি পেলেও তিনি সে পদে যোগদান না করে সদর সাব রেজিস্ট্রারের অফিস সহকারি পদে রয়েছেন। স¤প্রতি উম্মে ছালমা কমলার জমি জাল দলিল করার অভিযোগে সংবাদ প্রকাশের পর তাকে আশাশুনি সাব রেজিস্ট্রি অফিসের সহকারি হিসেবে বদলি করা হয়। তিনি সেখানে যোগদান না করে আশাশুনি থেকে বদলি প্রত্যাহার করে কালিগঞ্জ সাব রেজিস্ট্রি অফিসে যোগদান করেন। বর্তমানে তিনি সেখানেই আছেন। তার বির“দ্ধে বিপুল পরিমান অবৈধ সম্পদ তৈরির অভিযোগ রয়েছে দীর্ঘদিন। তিনি যা বলেন তাই হয় এমন প্রবাদ বাক্য আছে উক্ত অফিস পাড়ায়।
এব্যাপারে তদš—কারি কর্মকর্তার সাথে কথা বলা চেষ্টা করলে তিনি কথা বলতে রাজি হননি।
কাজী নাসির উদ্দীন, সাতক্ষীরা