১. নিয়মিত ব্যায়াম :ব্যায়ামে এনড্রোফিন হরমোন নিঃসৃত হয়। এই হরমোন সুখের অনুভূতি সৃষ্টি করে। এসব মানুষরা নিয়মিত ব্যায়াম করেন।
২. মানসিক পরিপূর্ণতার চর্চা :ব্যাপক ব্যস্ততাপূর্ণ জীবনযাপনের মধ্যেও ধীর-স্থির থাকতে হলে মনটাকে শান্তরাখতে হবে। মেডিটেশনের দ্বারা মনটাকে সুখে-শান্তিতে পরিপূর্ণ করে তোলাযায়।
৩. তারা নিজের সত্যতার বিষয়ে সম্মান প্রদর্শন করেন :নিজের ভিতরের সত্যটা উপলব্ধি করার চেষ্টা করুন। নিজের বিবেক বুদ্ধি কীবলতে চাইছে তা জানার চেষ্টা করুন। যেকোনো বাধাকে দূর করে খোলামেলা চিন্তাকরুন।
৪. সময়ের ব্যবহার :বাধা-বিপত্তির পর তারারিচার্জ হওয়ার চেষ্টা করুন। শান্ত মনের মানুষরা কিছুটা সময় ব্যয় করেন চার্জহয়ে নেওয়ার জন্য। এ সময়টি জীবনীশক্তি দ্বিগুণ পরিমাণে ফিরিয়ে দেবে।
৫. যা বলেন তাই বোঝান :কথাকে ঘুরিয়ে-পেঁচিয়ে বলেন না তারা। এতে বিষয় ঘোলা হয়ে যায়। মনের অবস্থাওহয় তেমনি। আর যা বলতে চান তাই পরিষ্কার করে উপস্থাপন করাটা তাদেরবৈশিষ্ট্য।
৬. সব বের করে দেওয়া :অনেক সময় চিৎকার করেকান্না আপনার মনের সব জেদ-ক্ষোভকে দূর করে দিতে পারে। এমন মানুষরা বুকেজমানো সব যাতনাকে মাঝে-মধ্যে এভাবে বের করে দেন।
৭. বন্ধুত্বপূর্ণ মানুষদের মাঝে থাকেন :প্রকৃতিগতভাবেই তারা সামাজিক মানুষ। তাই তারা বন্ধুত্বপূর্ণ এবংসহানুভূতিশীল মানুষদের মাঝে থাকেন এবং এমনই মহল হড়ে তোলেন। এতে করে এমনিতেইমনে সাহস থাকে এবং সবকিছু স্থিতিশীল মনে হয়।
৮. তৃপ্ত থাকা :আমাদের চারপাশ থেকে প্রাপ্ত নানা আর্শীবাদের বদৌলতে তৃপ্ত থাকার চেষ্টাকরেন তারা। ফলে সহজে অতৃপ্ত বোধ তাদের হয় না। মনে অশান্তি চলে আসে না।
৯. যথেষ্ট ঘুমান তারা :ঘুম এমন একটি জিনিস যা আমাদের মানসিক ও দৈহিকভাবে সুস্থ-সবল রাখে। মনটাকেউৎফুল্ল রাখতে তারা তাই যথেষ্ট পরিমাণে ঘুমানোর অভ্যাস করে নিয়েছেন।
১০. প্রযুক্তি সঙ্গে বিচ্ছেদ :সব সময় প্রযুক্তি নিয়ে পড়ে থাকেন না তারা। এটি দেহ-মনে এক ধরনের অবসাদ এনেদেয়। তা ছাড়া সবকিছু ছেয়ে খোলা বাতাসে প্রকৃতির মাঝে যাওয়া উচিতমাঝে-মধ্যে।
১১. সুযোগের অপেক্ষায় থাকা :শান্ত ও সুখীমানুষরা সুযোগের অপেক্ষায় থাকেন। তারা জানেন, সুযোগ আসবেই। কাজেই তার জন্যঅপেক্ষায় থাকার মধ্যে কোনো চাপ থাকে না। বরং সুযোগ কেনো আসেছে না বা কেনোহচ্ছে না ইত্যাদি চিন্তা পেরেশান করে দেবে।
১২. শিখতে শিখতে এগিয়ে যাওয়া :তারা চারপাশ থেকে শিক্ষা নেওয়ার চেষ্টা করেন। জীবনের চলার পথে দীর্ঘযাত্রা করতে হবে। তাই এখানে যেকোনো পরিস্থিতি থেকে শিখতে হবে। আর সেইশিক্ষাটি নেওয়ার চেষ্টা করেন তারা। ফলে প্রতিটি শিক্ষা তাদের আরো এক ধাপশান্ত ও ধীর হতে শেখায়। সূত্র : হাফিংটন পোস্ট