গাইবান্ধা প্রতিনিধি: গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার বামনডাঙ্গার হাসানগঞ্জ রেলস্টেশনের পূর্ব পার্শ্বে নিউ স্বাধীন বাংলা সার্কাসের নামে অবৈধভাবে চলছে হাউজি, নগ্ন নৃত্য, জুয়া এবং মদ গাঁজার রমরমা কারবার। এ নিয়ে ওই এলাকায় আইনশৃংখলা পরিস্থিতিও মারাত্মকভাবে বিঘ্নিত হচ্ছে। অথচ জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন এ সমস্ত বেআইনী কারবার বন্ধে কার্যকর কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করছে না। তবে জেলা প্রশাসন ব্যাপারটি সম্পর্কে অবহিত নন বলে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন।
এলাকাবাসির অভিযোগে জানা গেছে, গত এক সপ্তাহের বেশি সময় ধরে এই সার্কাস এবং হাউজি খেলা চালানো হচ্ছে। ওই প্যান্ডেলকে ঘিরে জুয়া, ফেন্সিডিল ও মদ গাঁজার কারবারও চলছে প্রকাশ্যে। এসএসসি এবং ডিগ্রী পরীক্ষা চলার এই সময়টিতে এধরণের সার্কাস ও হাউজি, জুয়া পরীক্ষার্থীদের লেখাপড়ায় মারাত্মকভাবে বিঘ্নিত সৃষ্টি করছে।
স্থানীয় ব্যবসায়ি আব্দুস সাত্তার জানান, রাত ১২টার পর সার্কাসের প্যান্ডেলে শুরু হয় অশালীন ও নগ্ন নৃত্য। যা সামাজিক পরিবেশকে মারাত্মকভাবে প্রভাবিত করছে। এতে তরুণ কিশোরা আকৃষ্ট হচ্ছে। অন্যদিকে এসবের জন্য অর্থ যোগার করতে গিয়ে এলাকায় ছিঁচকে চুরি, ছিনতাই ও রাহাজানি ব্যাপকহারে বৃদ্ধি পেয়েছে। অভিযোগ পাওয়া গেছে, স্থানীয় সংসদ সদস্যকে জানিয়েই উপজেলার অন্যান্য প্রভাবশালী মহলের ছত্রছায়ায় ওই সার্কাস, হাউজি ও জুয়া চলছে। সেখান থেকে নিয়মিত পুলিশ প্রশাসনসহ কিছু লোককে নানা অংকের টাকা বখরা দেয়া হচ্ছে। ওইসব ব্যাপারে খোঁজ নিতে গেলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সার্কাসের আয়োজনকারি এক ব্যক্তি জানান, জেলা উপজেলা পর্যায়ের প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার কিছু সাংবাদিকের নামেও নিয়মিত টাকা দিচ্ছি। তারপরও আপনারা কেন বিরক্ত করছেন।
সুন্দরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মোজাম্মেল হোসেন বলেন, সার্কাস চললেও হাউজি ও জুয়া চালানোর ব্যাপারটি তার জানা নেই। এব্যাপারে জেলা প্রশাসক এহছানে এলাহীর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, সার্কাসসহ ওইসব বিষয় তাঁর জানা নেই। খবর নিয়ে এসবের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া হবে। এব্যাপারে স্থানীয় সংসদ সদস্য মঞ্জুরুল ইসলাম লিটনের সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি সার্কাস চলার বিষয়টি স্বীকার করলেও নগ্ন নৃত্য ও অন্যান্য জুয়া খেলা চালানোর কথা অস্বীকার করেন।