গোবিন্দগঞ্জ প্রতিনিধিঃ গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ-দিনাজপুর আঞ্চলিক মহাসড়কের গোবিন্দগঞ্জ চারমাথা থেকে বাধন ফিলিং ষ্টেশন ব্রীজ পর্যš— ৪৫০ মিটার সড়কে কার্পেটিং কাজ শেষ হয়েছে মাত্র একমাস আগে। বিল উত্তোলনের আগেই কার্পেটিং উঠে গিয়ে ২০/৩০টি পয়েন্টে বড়বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। স্থানীয়দের অভিযোগ ঠিকাদার নিম্নমানের উপকরণ দিয়ে কাজ করায় এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।
জানা গেছে, সড়ক ও জনপথ বিভাগ গাইবন্ধার সড়ক রক্ষনাবেক্ষন কর্মসূচির আওতায় ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান মের্সাস কাশবন ৩১ লক্ষ টাকা ব্যয়ে ৪৫০মিটার দৈর্ঘ্য ও ৫.৫ মিটার প্রস্থ সড়ক এর কার্পেটিং করনের কার্যাদেশ পায়। চলতি বছরের মে মাসের শেষের দিকে ঠিকাদার কাজ শেষ করে। কিন্তু নিম্নমানের বিটুমিন দিয়ে কাজ করায় কাজ চলাকালিন সময়ে সড়কের অনেক স্থানে কার্পেটিং উঠে যায় । তার পরেও জোড়া তালি দিয়ে কোন রকমে ইঞ্জিনিয়ারকে ম্যানেজ করে কাজ শেষ করে। গতকাল সোমবার সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে ২০/৩০ পয়েন্টে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়ে যানবাহন চলাচল এর অযগ্য হয়ে পড়েছে।এসব গর্তে যানবাহন পড়ে গিয়ে বিকল হচ্ছে। সিএনজি ড্রাইভার মুঞ্জু মিয়া জানান, ঠিকাদার খুবই নিম্ন মানের কাজ করায় একটু বৃষ্টি পড়ায় সড়কে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়ে হাটু পানি জমেগেছে। আরেক সিএনজি চালক শুভ জানান, সড়কের কার্পেটিং উঠে যাওয়ায় আমাদের সবচেয়ে বেশী দুর্ভোগ পহাতে হচ্ছে এ যেন দেখার কেউ নেই। ঢেউ টিন ব্যবসায়ী মাছুদ রানা জানান, সড়কটির এই দূর্ভোগ যেন সারা বৎসর পোহাতে না হয় সে জন্য উর্দ্ধতন কতৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ দরকার।
এ ব্যাপারে গাইবান্ধা সড়ক ও জনপথ বিভাগের উপ- বিভাগীয় প্রকৌশলী রেজাউল হক প্রধান জানান, বৃষ্টির কারনে কার্পেটিং উঠে গিয়ে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। যেহেতু ঠিকাদারের এক বৎসর পর্যন্ত জামানত আছে তাই ঠিকাদারই গর্তগুলিতে ইট ফেলে চলাচলের উপযোগী করবে।
সড়ক মেরামত কাজের বিল উত্তোলনের আগে গোবিন্দগঞ্জ-দিনাজপুর মহাসড়কে কার্পেটিং উঠে গর্তের সৃষ্টি
Share This