জি নিউজ ঃ হরতালের আগের দিন রাজধানীর বেশ কয়েকটি স্থানে গাড়ীতে অগ্নিসংযোগ করেছে দুর্বৃত্তরা। কয়েকটি স্থানে ককটেল বিস্ফোরণ হয়েছে। সচিবালয়ের যাওয়ার পথে শুক্রাবাদে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের একটি মাইক্রোবাসে ভাংচুরের পর আগুন দেয়া হয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। পরে ওই এলাকায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর তৎপরতা জোরদার করা হয়। এছাড়া মোহাম্মদপুরে মিডওয়ে পরিবহনের বাস ও বনানী ইকবাল টাওয়ারের সামনে যাত্রীবাহী আরেকটি বাসে অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে। বনানীতে গাড়ীতে আগুন দেয়ার আগে হরতালের সমর্থনে একটি মিছিল করা হয়। এ সময় পুলিশ মিছিলে বাধা দিলে ১০ থেকে ১২টি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। এ সময় তারা বেশ কয়েকটি গাড়ির কাঁচ ভাঙচুর করে। বনানী থানার অপারেশন অফিসার আবু বকর সিদ্দিক জানান, হরতাল সমর্থকরা নাশকতার উদ্দেশ্যে জড়ো হলে পুলিশ তাদের ধাওয়া করে। এদিকে ধানমন্ডিতে একটি প্রাইভেট কারে আগুন দিয়েছে দুবৃত্তরা। স্টার কাবাবের সামনে এ ঘটনা ঘটে। দুপুরের পর কাওরান বাজারে প্রগতি টাওয়ারের সামনে একটি গাড়িতে অগ্নিসংযোগ করে দুর্বৃত্তরা। এদিকে হরতালের সমর্থনে নয়াপল্টনে ছাত্রদলের কর্মীরা মিছিল করে। মিছিলটি ফাঁকাগুলি ও টিয়ারশেল ছুড়ে ছত্রভঙ্গ কওে দেয় পুলিশ। সোয়া ১১টার দিকে ছাত্রদল সভাপতি আবদুল কাদের ভূঁইয়া জুয়েল ও সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রশিদ হাবিবের নেতৃত্বে ছাত্রদলের একটি মিছিল হরতালের পক্ষে স্লোগান দিতে দিতে ফকিরাপুল থেকে নয়াপল্টনের দিকে যায়। এ সময় মিছিলটি ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ গুলি ও টিয়ারশেল ছোঁড়ে। এতে বিক্ষুব্ধ মিছিলকারীরা নয়াপল্টন ও ফকিরাপুল পানির ট্যাঙ্কির কাছে কয়েকটি গাড়ি ভাঙচুর করে। পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠায় কাকরাইল থেকে ফকিরাপুল পর্যস্ত রাস্তায় যানচলাচল বন্ধ হয়ে যায়। বেলা ১২টা নাগাদ পরিস্থিতি শান্ত হয়ে এলে ফের যান চলাচল শুরু হয়। এসব ঘটনার পরে রাজধানীর বাড্ডা, রামপুরা, মালিবাগ, মৌচাক, কাকরাইল, বিজয়নগর, শান্তিনগর, পল্টন, গুলিস্তান, শাহবাগ, ফার্মগেট, মিরপুর, ধানমন্ডি, বনানী, উত্তরা, সায়েদাবাদ, যাত্রাবাড়ী এলকায় বিপুল সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। ডিএমপির উপ-পুলিশ কমিশনার (সদর) সৈয়দ আনোয়ার হোসেন বলেন, হরতালের আগের দিন দুপুর থেকে নাশকতার সৃষ্টি করে হরতাল সমর্থকরা। এ জন্য রাজধানী জুড়ে সতর্ক অবস্থানে রয়েছে র্যাব ও পুলিশ সদস্যরা।
হরতালের আগে রাজধানীতে ৫ গাড়ীতে আগুন
Share This