হাসিনা-মোদি বৈঠক: ‘বাংলাদেশের উন্নয়নে পাশে থাকবে ভারত
জি নিউজ অনলাইনঃ- বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে প্রথম বৈঠকে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বাংলাদেশের উন্নয়নে পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৬৯তম অধিবেশন উপলক্ষে যুক্তরাষ্ট্র সফরে থাকা দুই প্রধানমন্ত্রীর মধ্যে শনিবার বাংলাদেশ সময় মধ্য রাতে বৈঠকটি হয় ম্যানহাটনের নিউ ইয়র্ক প্যালেসে।
প্রায় ৩০ মিনিটের বৈঠকে দুই নেতা সন্ত্রাস মোকাবিলায় এক সঙ্গে কাজ করার দৃঢ় অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন। বৈঠকে শেখ হাসিনা বলেছেন, কোন সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে বাংলাদেশের মাটি ব্যবহার হতে দেবেন না তিনি। একই সঙ্গে তিনি ভারতের পক্ষ থেকেও একই ধরনের অঙ্গীকার আশা করেন। মোদির সঙ্গে প্রথম আনুষ্ঠানিক বৈঠক শেষে শেখ হাসিনা ‘খুবই ভাল’ আলোচনা হয়েছে বলে মন্তব্য করেন। সেখানে দুটি বন্ধু দেশের দ্বিপক্ষীয় স্বার্থ-সংশ্লিষ্ট অনেক ইস্যু এবং পারস্পরিক উদ্বেগের বিষয়গুলো নিয়ে কথা হয়েছে বলে জানান তিনি।
সারদা কেলেঙ্কারি প্রসঙ্গে গণমাধ্যমে প্রকাশিত রিপোর্টের বিষয়ে কি কথা হয়েছে তা জানতে চান এক সংবাদিক। জবাবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আলোচনার এজেন্ডায় এটি ছিল না। বৈঠকের পর পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী দেশীয় গণমাধ্যমের প্রতিনিধিদের বলেন, বৈঠকে দুই নেতা কুশল বিনিময়ের পাশাপাশি দ্বিপক্ষীয় স্বার্থ-সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয়ে কথা বলেছেন।
বৈঠকে অর্থমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রী, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির সভাপতি, পররাষ্ট্র সচিব এবং জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন। পররাষ্ট্র সচিব বলেছেন, বাংলাদেশের উন্নয়নে ভারত সম্পৃক্ত থাকবে বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। শেখ হাসিনা ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে স্থল সীমান্ত চুক্তি কার্যকর এবং তিস্তা চুক্তিসহ দুই দেশের অমীমাংসিত সমসাগুলো সমাধানের আন্তরিক উদ্যোগ নেয়ার আহ্বান জানান। শেখ হাসিনা নেপাল ও ভুটানের সঙ্গে বাংলাদেশের সরাসরি স্থল যোগাযোগের বাধাগুলো তুলে নিতে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর সহযোগিতা চাইলে মোদি ইতিবাচক সাড়া দেন। মোদিকে ঢাকা সফরের আমন্ত্রণ জানানো হলে তিনি শিগগিরই আমন্ত্রণ রক্ষার প্রতিশ্রুতি দেন।খবর:রেডিও তেহরান, মোদি বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জনে বঙ্গবন্ধুর ভূমিকা স্মরণ করে তার কন্যার নেতৃত্বগুণের প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু দেশ বানায়া, উস কি লেড়কি দেশ বাঁচায়া।