স্টাফ রিপোর্টার, জি নিউজ :শান্তিপূর্ণ অহিংস হরতালের ঘোষণা দিয়েও বিভিন্ন স্থানে হামলা, জ্বালাও পোড়াওসহ ককটেল-বোমার বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে হেফাজতে ইসলাম। চট্টগ্রামে পুলিশ ফাঁড়িতে হামলাসহ ক্ষমতাসীন দলের নেতা-কর্মীদের বাড়িতে অগি্নসংযোগ করেছে হরতালকারীরা। এ সময় সংঘর্ষে ছাত্রলীগের এক কর্মী গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। এছাড়া ময়মনসিংহেও হরতালকারী, ক্ষমতাসীন ১৪ দল ও পুলিশের ত্রিমুখী সংঘর্ষে অর্ধশত আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। তবে রাজধানীতে তেমন কোন অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। হরতাল ছিল ঢিলেঢালা। ব্যক্তিগত গাড়ির সংখ্যা সড়কে কম থাকলেও চলেছে অন্য যানবাহন। হরতালে নারীবিদ্বেষী ইস্যু থাকলেও ভয় উপেক্ষা করে নারীদের কর্মস্থলসহ বিভিন্ন স্থানে যাতায়াত করতে দেখা গেছে। রাজধানীতে গতকাল সোমবার হরতাল চলাকালে হরতালের সমর্থনে তেমন কোনো পিকেটিং চোখে না পড়লেও মোহাম্মদপুর এলাকায় ভোর ৬টা থেকে সকাল ১০টা পর্যন্ত প্রায় চার ঘণ্টা হেফাজতকর্মীরা সড়ক অবরোধ করে রাখেন। সকালে কারওয়ানবাজারে হরতালের সমর্থনে গাড়ি ভাঙচুর করা হয়। ভোর থেকেই রাজধানীর বিভিন্ন পয়েন্টে বিপুলসংখ্যক পুলিশ ও র্যাব সদস্যরা অবস্থান নিয়েছিল। হরতালের কারণে সড়কগুলোতে ব্যক্তিগত যানবাহন তেমন একটা চলাচল না করলেও রিকশা, অটোরিকশা, বিআরটিসিসহ বিভিন্ন গণপরিবহন চলতে দেখা গেছে। তবে টার্মিনালগুলো থেকে দূরপাল্লার কোনো বাস ছেড়ে যায়নি। ভোর ৬টার দিকে মোহাম্মদপুরের সাতমসজিদ রোড অবরোধ করে হেফাজতের কর্মীরা। এ সময় তারা আল্লাহ করিম জামে মসজিদের সামনের সড়কে অবস্থান নিয়ে ১৩ দফা দাবি বাস্তবায়নের পক্ষে বিভিন্ন সস্নোগান দেন। পরে সকাল ১০টার দিকে তারা অবরোধ তুলে নেন বলে জানান মোহাম্মদপুর থানার ওসি আজিজুর রহমান। ডিএমপির মিরপুর জোনের ডিসি ইমতিয়াজ আহমেদ জানান, মিরপুরে হরতালকারীরা কোন অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটাতে পারেনি। কামরাঙ্গীচর থানার আশরাফাবাদ এলাকায় সকালের দিকে হরতালের সমর্থনে জামিয়া নূরিয়া ইসলামীয়া মাদ্রাসার ছাত্ররা পিকেটিং করে এবং গাড়ি ভাঙচুর-আগি্নসংযোগের চেষ্টা করে। এ সময় পুলিশ তাদের বাধা দিলে তারা চলে যায়। অন্যান্য হরতালের মতো সকাল থেকে রাজধানীতে রিকশা ও অটোরিকশা চলাচল করেছে। গণ পরিবহনের সংখ্যাও অন্য হরতালের তুলনায় বেশি ছিল। দিনের প্রথমভাগে গাবতলী, মহাখালী ও সায়েদাবাদ থেকে দূরপাল্লার কোনো বাস ছাড়েনি। তবে লঞ্চ চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে বলে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।