টার্মিনালজুড়েই ছোট ছোট খাল, আবার কোথাও সৃষ্টি হয়েছে বড় বড় গর্ত। বৃষ্টি হলেই জমে পানি। কেন্দ্রীয় এ টার্মিনালটি একেবারেই ব্যবহার অযোগ্য হয়ে পড়েছে।
রবিবার সকালে ওই স্ট্যান্ডে গিয়ে দেখা গেছে, বড় বড় গর্ত আর কাদামাটির কারণে ট্রাকগুলো স্ট্যান্ডের ভেতরে না রেখে বিশ্বরোডের এক সাইডে সারি সারি দাঁড় করিয়ে রাখা হয়
রংপুর জেলা ট্রাক, ট্যাঙ্কলরী ও কাভার্ডভ্যান শ্রমিক ইউনিয়নের দপ্তর সম্পাদক মোঃ ইব্রাহিম খলিল ও সাবেক কার্যকারী সভাপতি মোঃ আমীর হোসেন জি নিউজ বিডি.নেটের সাংবাদিককে বলেন, দশ বছর আগে তৎকালীন রংপুর পৌরসভার মেয়র আব্দুর রউফ মানিক নগরীর পশ্চিম বাবুখাঁ এলাকায় ঢাকা-রংপুর মহাসড়কের পাশে ৩ একর জায়গা ট্রাক টার্মিনালের জন্য বরাদ্দ দেন। তারপর থেকেই এ জায়গাটি ট্রাক টার্মিনাল হিসেবে ব্যবহার হয়ে আসছে।
তিনি আরও জানান, প্রতিদিন এ স্ট্যান্ডটিতে রংপুর আন্তঃবিভাগের কমপক্ষে শতাধিক গাড়ি স্ট্যান্ড করা হয়। রংপুর সিটি কর্পোরেশন প্রতি বছর এ জায়গাটি ইজারা প্রদান করে থাকে। এরই ধারবাহিকতায় এ বছরেও সিটি কর্পোরেশন এ স্ট্যান্ডটি ২৩ লাখ টাকায় ইজারা প্রদান করা হয়েছে। বর্তমানে অত্যন্ত খারাপ অবস্থা হওয়ার কারণে এখন স্ট্যান্ডটিতে গাড়িও রাখা সম্ভব হচ্ছে না। অথচ এ স্ট্যান্ডটি থেকে রংপুর সিটি কর্পোরেশন প্রতিদিন গাড়ি প্রতি ৫০ টাকা করে টোল আদায় করছে। একাধিকবার মেয়র বরাবার চিঠি দেয়া হয়েছে। কিন্তু আজ পর্যন্ত এটির দিকে কোন নজরই দেয়নি নগর কর্তৃপক্ষ।
স্ট্যান্ডটিতে পানি নিষ্কাশনের জন্য কোন ড্রেনের ব্যবস্থা নেই। একটু বৃষ্টি হলেই স্ট্যান্ডটি ব্যবহার অনুপোযোগী হয়ে পড়ে । স্ট্যান্ডটিতে মাটি ভরাট, ড্রেন নির্মাণ, বেস্টনি প্রাচীর নির্মাণ খুবই জরুরি