অনলাইন ডেস্ক:- বাংলাদেশর অর্পিত সম্পত্তি প্রকৃত মালিকদের ফিরিয়ে দিতে প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ পদক্ষেপ কামনা করা হয়েছে৷ সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে পুরোনো প্রশ্ন, ‘‘অবহেলা, অপমান, নির্যাতন আর কত? বাংলাদেশের হিন্দুরা কি এই দেশের নাগরিক নয়
সংবাদ এবং সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে অনেকদিন ধরেই চলছে সংখ্যালঘুদের ওপর নির্যাতন, সম্পত্তি দখল, দেশত্যাগ ইত্যাদি বিষয় নিয়ে লেখালেখি৷ তবে সেসব লেখায় আগের মতো এখনো কোনো আশা সঞ্চারের উপকরণ নেই৷
সম্প্রতি অর্পিত সম্পত্তি প্রত্যর্পণ আইন পুরোপুরি বাস্তবায়ন করার জন্য সরকারের প্রতি জোরালো দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদ৷ বেদখল হয়ে যাওয়া সম্পত্তি প্রকৃত মালিকদের কাছে ফিরিয়ে দেয়ার প্রক্রিয়ায় প্রতিবন্ধকতা হিসেবে ঘুস, দুর্নীতি ও হয়রানির বিষয়গুলোও তুলে এনেছেন তারা৷
আইনটির যথাযথ বাস্তবায়নের বিষয়টি পর্যবেক্ষণের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিশেষ মনযোগ এবং উদ্যোগও কামনা করা হয়েছে৷
অর্পিত বা সম্পত্তি আইন চালু হয়েছিল ১৯৬৫ সালে, অর্থাৎ পাকিস্তান আমলে৷ তখন অবশ্য নাম ছিল, ‘শত্রু সম্পত্তি আইন’৷ একসময় নাম হয়ে যায় ‘অর্পিত সম্পত্তি আইন’৷ আইনের নাম বদলালেও সংখ্যালঘুদের দুর্দশা কমেনি৷ অর্পিত সম্পত্তি প্রত্যর্পণ আইন প্রণয়ন করেও অবস্থার সামান্যতম উন্নতিসাধন এখনো পর্যন্ত সম্ভব হয়নি৷ গত ৯ সেপ্টেম্বর অর্পিত সম্পত্তি আইনের ৫০ বছর পূর্তিতেও তাই সরাসরি প্রধানমন্ত্রীকেই তৎপর হওয়ার অনুরোধও জানানো হলো৷
‘কুখ্যাত শত্রু (অর্পিত) সম্পত্তি আইনের ৫০ বছর: জনগণের দুর্দশা‘ – শীর্ষক এক আলোচনা সভায় অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ই উঠে এসেছে৷ স্বাধীনতার পরও বাংলাদেশে ৩১ ভাগ ধর্মীয় সংখ্যালঘু ছিল, এখন আছে মাত্র নয় ভাগ – এই বাস্তবতা মনে করিয়ে দিয়ে সেখানে বক্তারা বলেছেন, সংখ্যালঘু নিঃসরণের এ প্রক্রিয়া চলতে থাকলে বাংলাদেশের গণতন্ত্রের পরিণতি ভয়াবহ হবে৷ তাই এখনই একটি নতুন অবস্থার সৃষ্টি করা জরুরি৷
সেখানে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের অভিজ্ঞ, বিতর্কিত এবং গুরুত্বপূর্ণ নেতা সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত বলেছেন, ‘‘আমি খুব ভয়াবহ অবস্থা দেখছি৷ যে নয় ভাগ সংখ্যালঘু আছে, তাদেরও ধরে রাখতে ব্যর্থ হচ্ছি৷ গণতন্ত্রও এক রকম ব্যর্থ হচ্ছে৷ এটা অব্যাহত থাকলে এ দেশের গণতন্ত্র আফগানিস্তানের মতো হবে৷”
সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে অবশ্য এমন কথা অনেক আগে থেকেই লিখছেন অনেকে৷খবর:ডিডাব্লিউ, লেখালেখিতে তেমন কাজ হয় না বলে হতাশাও প্রকাশ করেছেন অনেকে৷ টুইটারে মেহেদি হাসান নামের একজন তেমন হতাশা থেকেই সংখ্যালঘু নির্যাতনের একটি খবর শেয়ার করে লিখেছেন, ‘‘সংখ্যালঘু হামলা, হত্যা, ধর্ষণ, ঘর-বাড়ি, জমি দখল, দেশ ছাড়া করা বাংলাদেশের রোজকার ঘটনা৷ ৯০ শতাংশ ঘটনা গণমাধ্যমে আসে না ৷
অবহেলা, অপমান, নির্যাতন আর কত
Share This