অনলাইন ডেস্কঃ- আগামী ২২ নভেম্বর শুরু হচ্ছে প্রাথমিক ও ইবতেদায়ি শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা । জাতীয় ভাবে অনুষ্ঠিত দেশের সবচেয়ে বড় এ দুটি পরীক্ষায় এবার ২৯ লাখ ৪৮ হাজার ১০৮ জন ছাত্রছাত্রী অংশ নিচ্ছে। এ বছর সারা দেশে ৭ হাজার ৬৩টি কেন্দ্রে এ পরীক্ষা নেয়ার কথা রয়েছে। এ ছাড়াও দেশের বাইরে আরও ১১টি কেন্দ্র রয়েছে।
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের (ডিপিই) মহাপরিচালক মো. আলমগীর জানিয়েছেন, পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে নেয়ার সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। এবার প্রশ্ন ফাঁসের কোনো অভিযোগ উত্থাপিত হবে না। আমরা প্রশ্নপত্রের সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করেছি। অন্যান্য বছর এ পরীক্ষা এক সেট প্রশ্ন ছাপিয়ে নেয়া হতো। কিন্তু এবার মোট ৮ সেটে পরীক্ষা নেয়া হবে। সারা দেশের ৬৪ জেলাকে ৮ ভাগে ভাগ করা হয়েছে। প্রতি ৮ জেলা এক বিষয়ে এক সেট প্রশ্ন পাবে। তবে কোনো বিষয়ে যে ৮ জেলা প্রশ্ন পাবে, সেই ৮ জেলা অপর কোনো বিষয়ে এক সেট প্রশ্ন পাবে না। প্রশ্নপত্র এমনভাবে অদল-বদল করা হয়েছে যে, এক জেলার প্রশ্ন কোনো কারণে ফাঁস হলে অন্য জেলার পরীক্ষায় তার কোনো প্রভাব পড়বে না বলে জানিয়েছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
এদিকে নাম প্রকাশ না করে একজন অতিরিক্ত সচিব জানিয়েছেন, বর্তমানে প্রশ্ন ছাপার কাজ চলছে। এ জন্য বিজি প্রেসে সর্বাধিক নিরাপত্তা ও গোয়েন্দা তৎপরতা বাড়ানো হয়েছে। প্রতিবছর পরীক্ষা বিষয়ে নানা অভিযোগ আসে। এর মধ্যে একটি হচ্ছে উত্তরপত্র মূল্যায়নে ভুল নম্বর প্রদান। এজন্য এবার খাতা মূল্যায়নসহ বিভিন্ন বিষয়ে কিছু পরিবর্তন আনা হচ্ছে। ইতিমধ্যে মূল্যায়নকারী শিক্ষকদের কড়া নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। কারও বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ আসলে তৎক্ষণাৎ শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান ডিপিই কর্মকর্তারা।
অন্যান্যবারের মতো এবারও সকালে পরীক্ষা শুরু হবে। আড়াই ঘণ্টার পরীক্ষা হলেও প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীরা অতিরিক্ত ২০ মিনিট সময় পাবে বলে জানা গেছে। ২২ নভেম্বর প্রাথমিক ও ইবতেদায়িতে ইংরেজি, ২৩ নভেম্বর উভয়স্তরে বাংলা পরীক্ষা হবে।
২৪ নভেম্বর প্রাথমিকে বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় এবং ইবতেদায়িতে বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় এবং বিজ্ঞান, পরিবেশ পরিচিতি বিজ্ঞান পরীক্ষা। ২৫ নভেম্বর প্রাথমিকে প্রাথমিক বিজ্ঞান ও ইবতেদায়িতে আরবি পরীক্ষা আছে। ২৬ নভেম্বর নেয়া হবে প্রাথমিকে ধর্ম ও নৈতিক শিক্ষা আর ইবতেদায়িতে কুরআন ও তাজবিদ এবং আকাঈদ ও ফিকহ।
২৯ নভেম্বর রয়েছে গণিত বিষয়ের পরীক্ষা। পঞ্চম শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের জন্য ২০০৯ সাল থেকে এ পরীক্ষা শুরু হয়। আর ইবতেদায়িতে এ পরীক্ষা শুরু হয় ২০১০ সালে।