জানা গেছে, উপজেলার বাহাদুরপুর গ্রামের বিভূতি ভক্তের মেয়ে নমিতা (২০)-র সাথে বাকাল গ্রামের নীলকান্ত বাড়ৈর ছেলে সুদেব বাড়ৈর সাথে ৯মাস পূর্বে বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই নমিতাকে যৌতুকের জন্য বিভিন্ন সময় স্বামী মারধর করত। ২১ ফেব্রæয়ারি বিকেলে যৌতুকের নিয়ে ঝগড়ার একপর্যায়ে মারধর করে নমিতার স্বামী। এর কিছু সময় পরই নমিতার অসুস্থর কথা বলে বাবার বাড়িতে সংবাদ দেয়া হয়। বাবার বাড়ির লোকজন নমিতার শ্বশুর বাড়ি পৌঁছে নমিতাকে লাশ হিসেবে দেখতে পায়। মৃত্যুর সময় নমিতা ৫ মাসের অন্ত:সত্বা ছিল বলে জানা গেছে। এদিকে বিকেলে নমিতার মৃত্যু হলেও রাতে পুলিশকে খবর দেয়া হয়। পুলিশের এসআই শহিদুর রহমান ঘটনাস্থলে যাওয়ার পূর্বেই নমিতার গলায় রশি দেয়া লাশ বাড়ির লোকজন নামিয়ে রাখে বলে জানায় পুলিশ। নমিতার বাবার পরিবারের অভিযোগ, নমিতাকে হত্যার পর লাশ ঝুলিযে রেখে আত্মহত্যার অপপ্রচার চালানো হয়েছে। শনিবার লাশ বরিশাল মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। এব্যাপারে থানায় একটি ইউডি মামলা দায়ের।