আগৈলঝাড়ায় ইউএনও-র হস্তক্ষেপে বাল্যবিবাহ বন্ধ হলেও গভীর রাতে পাত্রের হাতে সম্প্রদান

2অপূর্ব লাল সরকার, আগৈলঝাড়া (বরিশাল) থেকেঃবরিশালের আগৈলঝাড়ায় একটি বাল্যবিবাহ বন্ধ করেছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা। ভ্রাম্যমান আদালত কর্তৃক কন্যার পিতাকে অর্থদন্ড ও প্রাপ্তবয়সে বিয়ে দেবার মুচলেকা আদায় করা হলেও আদালতের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে গভীর রাতে নির্ধারিত পাত্রের সাথেই গোপনে বিয়ে দেয়া হয়েছে। কিশোরী মুক্তা এখন বধূবেশে শ্বশুড়বাড়িতে অবস্থান করছে।

স্থানীয়সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার বাকাল গ্রামের পরিমল রায়ের মেয়ে আগৈলঝাড়া ভেগাই হালদার পাবলিক একাডেমীর ৮ম শ্রেণীর ছাত্রী মুক্তা রায়ের সাথে একই উপজেলার দক্ষিণ গৈলা গ্রামের নরেন বাড়ৈর ছেলে কালু বাড়ৈর বিয়ের আয়োজন করা হয়। রোববার সন্ধ্যায় এ সংবাদ শুনে কন্যা স¤প্রদানের পূর্ব মূহুর্তে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আবুল কালাম তালুকদার কন্যার বাড়ি গিয়ে বাল্যবিবাহ বন্ধ করে দেন। এসময় বাল্যবিবাহ দেয়ার চেষ্টার অপরাধে কণের পিতাকে ১৫দিনের কারাদÊ অনাদায়ের ১হাজার টাকা জরিমানা করেন। কণের পিতা পরিমল রায় নগদ ১হাজার টাকা জরিমানাসহ প্রাপ্তবয়স না হওয়া পর্যন্ত মেয়েকে বিবাহ না দেয়ার মুচলেকা দেয়। কিন্তু ভ্রাম্যমান আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. আবুল কালাম তালুকদার ও আদালত সংশ্লিষ্টরা চলে আসার পরে গভীর রাতে মুক্তার পরিবার গোপনে নির্ধারিত পাত্রের সাথে অপ্রাপ্তবয়স্কা মুক্তাকে স¤প্রদান করেছে। বর্তমানে মুক্তা রায় বধূবেশে শ্বশুড়বাড়িতে অবস্থান করছে। আদালতকে উপেক্ষা করে বাল্যবিবাহের বিষয়টি আগৈলঝাড়ায় ‘টক অব দ্য টাউন’ হিসেবে প্রচারিত হচ্ছে।

Exit mobile version