সীমান্তের কাছে অসাধারণ ক্যাচে আউট হন সাকিব আল হাসান।
স্পোর্টস ডেস্ক:- অল্প পুঁজি নিয়েই প্রচণ্ড লড়াই করেছে বাংলাদেশ। বুধবারের ম্যাচের মতো শেষ বল পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয়েছে সবাইকে। অনুশোচনায় দগ্ধ করে শেষ বলে চার মেরে বাংলাদেশের হাত থেকে জয় ছিনিয়ে নিয়েছে শ্রীলঙ্কা। জয়ের জন্য সিংহলিজদের শেষ ওভারে দরকার ছিল ৯ রান। প্রথম ৫ বলে থিসারা পেরেরা ও সেনানায়েকে নেন ৮ রান। ফলে শেষ বলে প্রয়োজন হয় ২ রান। বুধবার ঠিক উল্টো অবস্থানে শেষ বলে বাংলাদেশের প্রয়োজন ছিল ৩ রান। এ খবর রেডিও তেহরানএর, টানটান উত্তেজনাকর এ মুহূর্তে ফরহাদ রেজার বলটিকে সীমানার বাইরে পাঠিয়ে জয় নিশ্চিত করেন সেনানায়েকে। ১৯ ওভার শেষে শ্রীলঙ্কার সংগ্রহ ছিল ১১১/৭। এর আগে ১০ম ওভারে চতুর্থ উইকেট তুলে নিয়ে তারা চাপে ফেলে দেয় লঙ্কানদের। মাত্র ৫০ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে ফেলে শ্রীলঙ্কা। সেই চাপ থেকে দলকে বের করে আনেন সাঙ্গাকারা ও পেরেরা। কিন্তু দলীয় ৯৬ রানের মাথায় রুবেল হোসেন সাঙ্গাকারাকে ফিরিয়ে দিলে জয়ের স্বপ্ন গাঢ় হয়েছিল বাংলাদেশের। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি। এর আগে ১২১ রানের জবাবে খেলতে নেমে সাকিবের বলে লেগ বিফোর উইকেট হন কুশল পেরেরা। ১৮ বলে ২৩ রান করেছিলেন তিনি। পরে ৪.১ ওভারের সময় দিলশানকে সরাসরি বোল্ড করেন আরাফাত সানি। ৬ বলে ৩ রান করেন তিনি। এরপর মাহমুদুল্লাহর বলে এলবিডাব্লিউ হন চান্দিমাল। পেরেরা বোল্ড হয়ে যান মাশরাফির বলে। ওই ওভারের শেষ বলে আউট হন টেস্টের অধিনায়ক অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউজ। ১১তম ওভারের শেষ বলে রান আউট হন কুলাসেকারা।এর আগে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সিরিজের শেষ টি-টোয়েন্টি ম্যাচে ১২০ রানে অলআউট হয়ে যায় বাংলাদেশ। টসে জিতে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নিয়ে ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে বাংলাদেশ। প্রথম ওভারেই উইকেট হারায় টাইগাররা। দিলশানের ওভারের পঞ্চম বলে চান্দিমালের হাতে ধরা পড়েন শামসুর রহমান শুভ। দ্বিতীয় ওভারের দ্বিতীয় বলে কুলাসেকারার বল হাঁকাতে গিয়ে সীমানার কাছে মেন্ডিসের হাতে ধরা পড়েন তামিম। দলের রান তখন ২ উইকেটে মাত্র ৩। শুরুর সেই ধাক্কা আর সামলাতে পারেনি বাংলাদেশ। শেষ পর্যন্ত এক বল বাকি থাকতেই ১২০ রানে অলআউট হয়ে যায় স্বাগতিকরা। সাকিব আল হাসান নেমেই ৪ হাঁকান। সঙ্গে জ্বলে ওঠেন এনামুলও। ২ ওভারে এ জুটি যোগ করেন ৩২ রান। কিন্তু চতুর্থ ওভারে সেনানায়েকের বলে বাউন্ডারি পার করতে গিয়ে আউট হয়ে যান সাকিব। সীমান্তে অসাধারণ ক্যাচ নেন কুলাসেকারা। ৬ বলে ১২ রান করেন সাকিব। পঞ্চম ওভার এক রান দেন লাসিথ মালিঙ্গা। ষষ্ঠ ওভারের তৃতীয় বলে আউট হন এনামুল। ১৭ বলে ২৪ রান করে যান তিনি। নাসির হোসেন আউট হন মেন্ডিসের প্রথম ওভারেই ৮ রান করে। এরপর রান আউট হন মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ। ৮০ রানের মাথায় ফরহাদ রেজার বিদায়ের পর অধিনায়ক মাশরাফি খানিকটা পিটিয়ে স্কোর ১০০ পার করিয়ে নেন। কিন্তু ১০১ রানের মাথায় মালিঙ্গার ইয়র্কারে বোল্ড হয়ে যান মাশরাফি। তিনি চারটি চারে ১৭ রান করেন ১০ বলে। এরপর শেষ ওভারে মালিঙ্গা বিদায় করেন আরাফাত সানি ও সাব্বির রহমানকে। অভিষিক্ত সাব্বির সর্বোচ্চ ২৬ রান করেন। যদিও তিনি বল খেলেন ৩৬টি। তার ইনিংসে চার ছিল দুটি। মালিঙ্গা তিন উইকেট নেন মাত্র ২০ রান দিয়ে। দুটি করে উইকেট নেন কুলাসেকারা ও সেনানায়েকে। তাঃ-১৫ ফেব্রুয়ারি২০১৪।