অনলাইন ডেস্ক:- ঢাকা : ‘আমি একজন কল গার্ল, সেক্স করতে হলে আমাকে কল করুন।’ নীচে একটি মোবাইল নম্বর। বাস স্ট্যান্ড, ট্রেন থেকে শুরু করে ইন্টারনেট, মোবাইল ফোন। বিজ্ঞাপন আর মেসেজে ছেয়ে গিয়েছে চারদিক। ব্যস, একের পর এক ফোন। আর ক্রমেই দুর্বিসহ হয়ে পড়ছে এক যুবতীর জীবন।
মাটিতে মিশে যাচ্ছে তার সম্মান। অশ্লীল প্রস্তাবে তিনি এখন দিশেহারা। রহস্যজনকভাবে এক যুবতীর ফোন নম্বরকে কলগার্ল-এর নম্বর হিসেবে ছড়িয়ে দিল একদল ব্যক্তি। ঘটনায় রীতিমতো ভীত ও বিধ্বস্ত বেঙ্গালুরুর রামমূর্তিনগরের বাসিন্দা ওই যুবতী।
ইন্টারনেটের সহজলভ্যতার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে সাইবার ক্রাইম যে ক্রমেই দেশে মহামারীর আকার নিচ্ছে, তার আরও একটি দৃষ্টান্ত এই ঘটনা।
বছর কুড়ির ওই যুবতী পুলিশকে জানিয়েছেন, মার্চ মাসে প্রথমবার এক অচেনা ব্যক্তি ফোন করে তাঁর মোবাইলে। ফোনের প্রস্তাব শুনে চমকে ওঠেন তিনি। ফোনের ওপারের লোকটি বলে, ‘হাই বেবি, কখন তুমি ফ্রি আছো? আমি তোমার সঙ্গে সেক্স করতে চাই।’ তারপর আবার একটি ফোন। এও অচেনা ব্যক্তি।
বক্তব্য, ‘আমি তোমার সার্ভিসে আগ্রহী, কী ভাবে তোমার সঙ্গে দেখা করব?’ এই ভাবেই প্রতিদিন একের পর এক ফোন আর কুপ্রস্তাব জেরবার হয়ে যান ওই যুবতী। অবস্থা এমন হয় যে, তাঁর ব্যক্তিগত সম্পর্কেও চিড় ধরা শুরু হয়।
মেয়েটির কথায়, ‘আমি বুঝতেই পারছি না, আমার ফোন নম্বর এই ভাবে কারা ছড়িয়ে দিল।’
ভীত, বিধ্বস্ত, বিরক্ত হয়ে ওই যুবতী নিজের ফোনটি ভাইকে ব্যবহার করতে দেন। কিন্তু তাতেও কোনও ফল হয় না। অচেনা ব্যক্তিগুলো এরপর হোয়াটসঅ্যাপ, এসএমএস-এ অশ্লীল প্রস্তাব দেওয়া শুরু করে। এক অচেনা ব্যক্তি হোয়াটসঅ্যাপ-এ জানায়, তোমার নম্বর পেয়েছি বিজয়নগর বাসস্ট্যান্ড থেকে।
এরপরই পুলিশে অভিযোগ করেন ওই যুবতী। ৭টি অচেনা নম্বর পুলিশের কাছে জমা দেন তিনি।
ডেপুটি পুলিশ কমিশনার সন্দীপ পাটিল জানিয়েছেন, মেয়েটিকে ফোনে যারা উত্যক্ত করত, তাদের প্রত্যেককেই আটক করা হয়েছে।খবর:প্রাইমনিউজ, তাদের মধ্যে বিজয়কুমার ও চন্দ্রকান্ত বলে ২ ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকিদেরও খোঁজ খবর নেওয়া হচ্ছে। এই ঘটনায় জড়িত সব অভিযুক্তদের খুব শিগগিরই গ্রেপ্তার করা হবে।
আমি একজন কল গার্ল, প্লিজ ফোন করুন
Share This