মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টার সহকারী বেঞ্জামিন রুদায বলেছেন, নিজ স্বার্থ রক্ষার জন্য ওয়াশিংটন প্রয়োজনে যে কোনো পদক্ষেপ নিতে পিছ পা হবে না। তিনি বলেন, প্রয়োজনে সিরিয়ায় তৎপর আইএসআইএল’র বিরুদ্ধে সামরিক পদক্ষেপ নেবে আমেরিকা। মার্কিন এ কর্মকর্তা আরো বলেছেন, আইএসআইএল বর্তমানে আমেরিকার জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে এবং প্রেসিডেন্ট ওবামাও এটাকে অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে নিয়েছেন।
বিশ্লেষকরা বলছেন, আইএসআইএল সন্ত্রাসীদের হাতে মার্কিন সাংবাদিক নিহত হওয়ার ঘটনা সিরিয়ায় মার্কিন সামরিক হস্তক্ষেপের সুযোগ এনে দিয়েছে। এ ছাড়া, এ সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার ক্ষেত্রে প্রেসিডেন্ট ওবামা বিশেষ নিরাপত্তা টিম গঠনেরও চিন্তাভাবনা করছেন। আইএসআইএল ইস্যুতে ওবামা সরকার ব্যাপক দ্বিধাদ্বন্দ্বের মধ্যে পড়েছে। এ অবস্থায় মার্কিনীরা এখন কি পদক্ষেপ নেয় সেটাই দেখার বিষয়।
সিরিয়ায় গোলযোগ শুরু হওয়ার পর এবং দেশটির বর্তমান সরকারের বিরুদ্ধে বিদ্রোহীদের সংগঠিত করার জন্য ওবামা সরকার বিদ্রোহীদেরকে ব্যাপক অর্থ ও অস্ত্র দিয়ে গড়ে তোলে এবং তাদেরকে আমেরিকা ‘ফ্রিডম ফাইটার’ হিসেবে অভিহিত করে। কিছুদিন আগেও আমেরিকা সিরিয়ার বিদ্রোহীদের সর্বাত্মক সহযোগিতা দিয়েছে। ইউরোপের কয়েকটি দেশ বিশেষ করে ব্রিটেনসহ মার্কিন কর্মকর্তারা দাবি করতেন তারা কেবল সিরিয়ায় তৎপর মধ্যপন্থী সেক্যুলার বিদ্রোহীদেরকেই অস্ত্র, অর্থ ও প্রশিক্ষণ দিয়ে সহযোগিতা করছে। কিন্তু বাস্তবে আমরা দেখতে পেয়েছি পাশ্চাত্য আন্ নুসরার মত উগ্র তাকফিরি সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলোকে এবং সর্বশেষ আইএসআইএলকে সহযোগিতা করেছে।
সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদ বহুবার সন্ত্রাসীদের প্রতি পাশ্চাত্যের সহযোগিতার পরিণতির ব্যাপারে হুঁশিয়ার করে দিয়েছিলেন। কিন্তু পাশ্চাত্যের কর্মকর্তারা সবসময়ই এ সতর্কবাণীকে উপেক্ষা করে এসেছে। এমনকি রাশিয়ার মত দেশগুলোও আমেরিকাকে বহুবার সতর্ক করে দিয়েছিল।
রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন আল-কায়দা সন্ত্রাসীদের প্রতি পাশ্চাত্যের সমর্থনের কথা উল্লেখ করে বলেছেন, শেষ পর্যন্ত এসব সন্ত্রাসীরাই আমেরিকাসহ পাশ্চাত্যের দেশগুলোর জন্য বিপদ হয়ে দাঁড়াবে।খবর-রেডিও তেহরান. বর্তমানে ইরাকে আইএসআইএল সন্ত্রাসীদের তৎপরতা বহুগুণে বেড়েছে এবং তারা সেদেশে আমেরিকাসহ পাশ্চাত্যের স্বার্থের জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। পরিস্থিতি এমন জায়গায় গিয়ে ঠেকেছে যে, আইএসআইএল আমেরিকার অভ্যন্তরেও হামলার হুমকি দিয়েছে।